বেলডাঙা: বর্ধমানের খাগড়াগড় কাণ্ডের পর এবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বিস্ফোরণের তদন্তে নামল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। তবে প্রায় সাত মাস পরে বেলডাঙার ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত শুরু হওয়ায় জল্পনা তৈরি হয়েছে। রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ বেলডাঙা থানায় পৌঁছয় এনআইএ-র প্রতিনিধি দল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলডাঙা থানার (police station) রামেশ্বরপুর এলাকায় গত ১৭ জানুয়ারি রাতে একটি বাগানে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন একজন। আহত হন আরও কয়েকজন। যদিও আহতদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে অক্টোবর মাসে বর্ধমান জেলায় খাগড়াগড়ে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ও তাতে এনআইএ তদন্ত আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাবতা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই গ্রামে কুঁড়ে ঘরে বোমা বাঁধার সময়ই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ইয়াজউদ্দিন সেখ ওরফে ছদি সেখ নামে এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাতেই মৃত্যু (Death) হয় ইয়াজউদ্দিনের (৫০)। পরের দিন সকালে ঘটনাস্থল থেকে ৭৫টি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন ফের দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ উত্তর কোরিয়ার, ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে ইয়াজউদ্দিন পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁকে কারা সেখানে ডেকেছিল। কারা বোমা বাঁধতে বলেছিল। তিনি ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত নয় বলেও দাবি করেছিলেন পুলিশের কাছে। এলাকাবাসীর একাংশের অবশ্য অভিযোগ ছিল, এলাকায় সন্ত্রাস করতেই বোমা মজুত করা হচ্ছিল।
জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় মোট ১০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত আনাজ মাস্টার নামে এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে বেলডাঙা থানার পুলিশ। ওই ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে ভাবতা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সোরাবুদ্দিন শেখ। এরপর কয়েকমাস পরে সোরাবুদ্দিন আত্মসমর্পণ (surrender) করে। কিছুদিন জেল হেফাজতের (jail custody) পর ওই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বর্তমানে জামিন পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আনাজ মাস্টার সহ অন্যান্য অভিযুক্তরাও জামিনে রয়েছে। এদিকে, এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় স্বামীর মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হোক বলে নিকটাত্মীয়দের কাছে দাবি করেছেন আশ্রাফন বেওয়ার। আত্মীয়দের তিনি জানিয়েছেন, দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ওই মামলা থেকে এতদিন দূরে ছিলেন।