কলকাতা: হাজরা মোড়ের প্রকাশ্য সভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নাম না করে কড়া ভাষায় বিঁধলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh)। দিলীপ এখন দলের অন্যতম সর্বভারতীয় সহ সভাপতি (Vice President of Bharatiya Janata Party )। শুভেন্দু বলেন, আমি মর্নিং ওয়াক করতে করতে যা খুশি তাই বলি না। আমি বিরোধী দলনেতা। দায়িত্ব নিয়ে কথা বলি। যা বলি, ভেবে বলি। যা করি, ভেবেচিন্তে করি। যা বলি, তা করে দেখাই। মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে ফাঁকা বুলি দিই না। শুভেন্দুর আক্রমণের লক্ষ্য যে দিলীপ ঘোষ, তা বুঝতে মঞ্চে বসা বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এবং বিশাল জনতার বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয়নি।
গত কয়েক দিন ধরে শুভেন্দু দাবি করে আসছিলেন, ডিসেম্বর মাসেই শাসকদলের (Ruling Party) মধ্যে বড় সংকট দেখা দেবে। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা চর্চা শুরু হয়। সম্প্রতি শুভেন্দু আবার তিনটি তারিখও নির্দিষ্ট করে দেন। তিনি বলেন, অপেক্ষা করুন ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বরের জন্য। কিন্তু এই তিনদিন কী হবে, তার ব্যাখ্যা দেননি তিনি। তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (TMC State Spokesperson Kunal Ghosh) আবার পাল্টা জানুয়ারির কথা বলেন।
আরও পড়ুন: Bogtui: সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু বগটুই কাণ্ডে অভিযুক্ত লালন সেখের
বিজেপির অন্দরেও শুভেন্দুর এই ডিসেম্বরেরর তিনটি তারিখ দেওয়া নিয়ে নানা বিতর্ক ওঠে। এদিন তিনি বলেন, আমি যা বলেছি, তা দলের কথা নয়। এটা আমার ব্যক্তিগত মত। দুদিন আগেই সোজা সাপটা নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বিরোধী দলনেতার ডিসেম্বর তত্ত্ব খারিজ করে দিয়ে বলেন, এ রকম তারিখ দিয়ে রাজনীতি হয় না। রাজ্যে শিক্ষা দুর্নীতির সিবিআই তদন্ত হচ্ছে আদালতের নির্দেশে। খুব ভালো কথা। রাজ্যের অবস্থাও ভালো নয়। তবে সিবিআই, আদালত কী বলবে, কী করবে, তা রাজনীতিকরা আগে থেকে বলতে পারেন না। কেউ হয়তো অভিজ্ঞতা থেকে কিছু বলছেন।
দিলীপ রাজ্যের যেখানেই যান, সেখানেই প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মিডিয়ার মুখোমুখি হন। সংবাদমাধ্যমের নানা প্রশ্নের জবাবে সোজাসুজি কথা বলেন। শুভেন্দু এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলেই দিলীপকে খোঁচা (Criticise) দেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। দিলীপ, শুভেন্দু, সুকান্ত মজুমদারকে কেন একসঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যায় না, ইন্টারভিউতে সেই প্রসঙ্গও ওঠে। দিলীপ বলেন, এটা কি বিয়েবাড়ি নাকি যে সবাই একসঙ্গে খেতে যাবে। বিজেপির তিন নেতা আছেন। তাঁরা যখন যেখানে সম্ভব হচ্ছে, সেখানে যাচ্ছেন তাঁদের মতো করে। তৃণমূলে তো একজনই নেত্রী। তিনি ছাড়া আর কারও সভায় লোকও হয় না। তবে সোমবার হাজরার সভায় শুভেন্দুর সঙ্গে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুদারও ছিলেন, ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল, শমীক ভট্টাচার্য-সহ অনেক নেতা। যদিও দিলীপ ঘোষকে দেখা যায়নি।