মুর্শিদাবাদের নওদায় খুন হওয়া নদিয়ার তৃণমূল (AITC) নেতার স্ত্রী খুনের ঘটনায় এবার আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় গোপন জবানবন্দির দেওয়ার আবেদন জানালেন। সোমবার হরিহরপাড়া থানার পুলিশের (WB Police) সঙ্গে দেখা করেন নদিয়ার নিহত তৃনমুল নেতা মতিরুল ইসলামের স্ত্রী রিনা বিশ্বাস সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।
থানার অফিসারদের সঙ্গে কথা বলার পরে রিনা বিশ্বাস জানান, তাঁর স্বামীকে খুনের ঘটনায় যে দশ জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তার মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের দ্রুত গ্রেফতার (Arrest) করা হবে এই বিশ্বাস তাঁর রয়েছে। তবে তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি দিতে চান। সে কারনে ১৬৪ ধারায় আবেদন জানাতে চান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ই নভেম্বর নওদা থানা এলাকার শিবনগরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন নদীয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম। ওই খুনের তদন্ত নেমে পুলিশ এখনও পর্যন্ত মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ চারটি বোমা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী রিনা বিশ্বাসের দায়ের করা এফআইআর-এর (FIR)তালিকায় যে দশজনের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই এখনও অধরা। সেকাণেই ম্যাজিস্ট্রেটের (Magistrate) কাছে জবানবন্দি দিতে চাইছেন নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী রিনা বিশ্বাস।
পুলিশ সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠা মতিরুলের বিরুদ্ধে একাধিক কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ক্ষুব্ধ ছিল। খুনের পিছনে সেই ক্ষোভ কাজ করতেই পারে বলে পুলিশের অনুমান। রাজকুমার ও পিঙ্কুর গ্রেফতারের পর সেই অনুমান আরও তীব্র হচ্ছে।
গত ২৪ নভেম্বর মুর্শিদাবাদের নওদা থানা এলাকায় বোমা ও গুলির হামলায় খুন হন মতিরুল। তিনি নদিয়ার করিমপুর-২ ব্লকের তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নারায়ণপুর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান।