ঝালদা: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঝালদায় পুরপ্রধান নির্বাচনের (Jhalda Municipality) প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে এবং পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে চলছে ভোট গ্রহণ। পুরসভার ২০০ মিটারের মধ্যে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। পাশাপাশি বেআইনি জমায়েতেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সোমবার (Monday) সকাল ১১ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া।
তৃণমুল, কংগ্রেস এবং নির্দল মিলিয়ে ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় ১২ জন কাউন্সিলরই ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন। পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালও হাজির ছিলেন। আদালতের নির্দেশে চেয়ারম্যান নির্বাচন হলেও সুরেশ বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার কিছু জানি না। চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে ভোটাভুটি হলেও ঝালদা পুরসভায় যে আগামিদিনেও জটিলতা কাটবে না, প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাও বুঝিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee Live: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে সাগরদিঘিতে মুখ্যমন্ত্রী, কী বললেন মমতা দেখে নিন
প্রসঙ্গত, গত বছর ঝালদা পুরসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরই খুন হয়ে যান কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। ওই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চলছে। নির্দলের সমর্থন নিয়ে বোর্ড চালাচ্ছিল তৃণমূল। গত নভেম্বর মাসে নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূল গিয়েছিলেন তিনি দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। ফলে সংকটে পড়ে তৃণমূল বোর্ড। এরই মধ্যে তপনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে জয়ী হল নিহত কাউন্সিলরের ভাইপো। পরে কংগ্রেস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। বিষয়টি গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। আদালত ১৬ জানুয়ারি চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে। সেইমতোই এদিন কড়া পুলিশি নি্রাপত্তার মধ্যে ভোটাভুটি চলে।
কংগ্রেসের অভিযোগ, ছলে বলে কৌশলে তৃণমূল ঝালদা পুরসভা দখলে রাখতে চায়। তার জন্যই শাসকদল দফায় দফায় আদালতে গিয়েছে। কংগ্রেসের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী জানান, তাঁরাও আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। তৃণমূলকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। শেষ পর্যন্ত লড়াই চলবে। প্রবীণ প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, শাসকদল গণতন্ত্রের ধার ধারে না। তার জন্যই যেন তেন প্রকারে ঝালদা পুরসভা দখল করতে চাইছে।