মগরাহাট: দলীয় মঞ্চ থেকেই পঞ্চায়েত (Panchayat) প্রধানকে হুঁশিয়ারি দিলেন মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা (Giyashuddin Molla)। সোমবার দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে উত্তর কুসুম পঞ্চায়েতের প্রধান কুতুবুদ্দিন নস্করকে উদ্দেশ্য করে বিধায়ক বলেন, আর কত খাবে? হাতে আর মাত্র তিন মাস বাকি।
বিধায়কের ওই বক্তব্যের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও তার সত্যতা কলকাতা টিভি ডিজিটাল যাচাই করেনি। তবে বিধায়কের বক্তব্য নিয়ে দলের অন্দরেই ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সভাপতি ইমরান হোসেন মোল্লা বলেন, প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বিধায়কের ওই কথা বলা ঠিক হয়নি। তাছাড়া তিনি ঠিকও বলেননি। উত্তর কুসুম পঞ্চায়েতের প্রধান কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল বিধায়কের এই বক্তবযকে হাতিহার করে পথে নেমে পড়েছে বিজেপি। জেলার বিজেপি নেতা সুফল ঘাটু বলেন, রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলি যে দুর্নীতির আখড়া হয়ে গিয়েছে, বিধায়কের কথাতেই তা স্পষ্ট। উত্তর কুসুম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে উপপ্রধান সকলেই দুর্নীতিগ্রস্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাধারণ মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।
এমনিতেই নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানান অভিযোগও ঘিরে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেরবার তৃণমূল। দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচির মাধ্যমে শাসকদল জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তার মধ্যেই প্রকাশ্য মঞ্চ থেকেই বিধায়কের এই হুঁশিয়ারি তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই আরও উস্কে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপিও।
দলীয় বিধায়কের কথা মানতে নারাজ যুব তৃণমূল নেতা ইমরান হোসেন মোল্লা। তিনি দাবি করেন, উত্তর কুসুমের পঞ্চায়েত প্রধান অত্যন্ত স্বচ্ছ। শুধু ওই পঞ্চায়েতই নয়, মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে সব পঞ্চায়েতই স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে। বিধায়ক কেন এ কথা বললেন, আমি জানি না।