কলকাতা: মরুশহর জয়সলমিরের (Jaisalmir) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পশ্চিম মেদিনীপুরের এদিনের তাপমাত্রা (Temperature) জয়সলমিরকেও ছাপিয়ে গেল। দিল্লির মৌসম ভবন জানাচ্ছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এদিন ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পিছিয়ে নেই কলকাতাও (Kolkata)। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিন ধরেই দহনজ্বালায় জ্বলছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা। আগামী সোমবার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহ থাকবে বলে সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরও।
এদিন দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ছিল। সকাল থেকেই চড়া রোদে নাজেহাল হতে হয়েছে মানুষকে। চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, খুব প্রয়োজন না থাকলে বিকেল চারটে পর্যন্ত বাড়ির বাইরে না বেরনোই ভালো। কিন্তু রুটি রুজির টানে মানুষকে বাইরে বেরতেই হচ্ছে। জেলায় জেলায় বেলা গড়াতেই রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে পড়ে। অফিসকাছারিতেও উপস্থিতির হার এদিন কম ছিল। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই অনেক জেলাতেই দুপুরে চাষীরা মাঠেও নামেননি। রাস্তাঘাটে যানবাহন কম দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Mumbai Airport | বিমানবন্দরের শৌচালয়ে টিকিট বদল, গ্রেফতার দুই যাত্রী
রাজ্য শিক্ষা দফতর স্কুলে গরমের ছুটি এগিয়ে এনেছে। এদিনই বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২ মে থেকে ছুটি পড়বে বলে সরকার জানিয়েছে। অনেক জেলাতেই দুপুরের স্কুল সকালে নিয়ে আশা হয়েছে। বহরমপুর সহ মুর্শিদাবাদ জেলায় এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল নয়টা থেকেই তাপমাত্রা চড়তে শুরু করে। জেলায় ৩১৮২টি প্রাথমক স্কুলে সোমবার থেকে সকালে পঠনপাঠন হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদ।
তীব্র গরমের কারণে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও এদিন থেকেই দুপুরের পরে প্রাথমিক স্কুল চালু হয়েছে সকালে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিয়মই চালু থাকবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা দফতর জানিয়েছে। মিড ডে মিলের রান্নাও হবে সকাল সকাল।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় আপাতত কয়েক দিন তাপপ্রবাহ চলবে। আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।