পশ্চিম মেদিনীপুর: কুড়মিদের (Kurmi) বাড়ির দেওয়ালে রাজনৈতিক প্রচার ( Political Campaigning) বন্ধ। তাদের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে গত ১ মে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খেমাসুলির জনসভা থেকে এমনই সিদ্ধান্ত নেন কুড়মিরা। আর সেইমতো জঙ্গলমহলের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে এই মর্মে দেওয়াল লিখন। সেইসব লেখার মূল বক্তব্য কুড়মিদের বাড়ির দেওয়ালে ছোট বড় কোনও রাজনৈতিক দলেরই পোস্টার লাগানো বা লেখা চলবে না। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) শালবনির চেংশোলে উঠে এল সেই ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা না হলেও ময়দানে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। কুড়মি এলাকার যে সমস্ত দেওয়াল ইতিমধ্যেই ‘সাইট-ফর’ লিখে রাজনৈতিক দল দখল নিয়েছিল, সেই সমস্ত দেওয়ালেও লিখে দেওয়া হল একই বার্তা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে কুড়মিদের এ হেন সিদ্ধান্ত নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
কুড়মি সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুমন মাহাত বলেন, খেমাশুলি থেকে যে বারো দফার সিধান্ত নিয়েছিলাম, তার মধ্যে বলা হয়েছিল, কুড়মিদের দেওয়ালে কোনও রাজনৈতিক প্রচার করতে দেব না। সেই সিদ্ধান্তমতো শালবনির চেংশোল গ্রামে প্রতিটি কুড়মি বাড়ির দেওয়ালে লেখা হচ্ছে, কোনওরকম রাজনৈতিক প্রচার দেওয়ালে করা চলবে না।
নিজেদের এসটি সম্প্রদায়ে অন্তর্ভুক্তি, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি-সহ একাধিক দাবিকে সামনে রেখে ঘাঘর ঘেরা আন্দোলন শুরু করেছেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষ। জায়গায় জায়গায় পথ অবরোধ, রেল অবরোধ করেন কুড়মিরা। ১১ এপ্রিল নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকও করেন কুড়মি সংগঠনের নেতারা। কিন্তু সেই বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। এই প্রেক্ষাপটে বঞ্চনার অভিযোগে সমস্ত রাজনৈতিক দলের সংযোগ এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কুড়মিরা। বলা হয়েছে, কুড়মিদের মধ্যে কেউ কোনও রাজনৈতিক দলের পদে থাকলে বা জনপ্রতিনিধি হলে পদত্যাগ করতে হবে। কোনও রাজনৈতিক দলের মিছিল-মিটিংয়ে কুড়মিরা অংশ নেবেন না। এই নির্দেশিকা না মানলে কুড়মিদের সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে। এই প্রেক্ষিতে কুড়মি সমাজের শীর্ষ নেতৃত্বের নতুন হুঁশিয়ারি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।