ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) যাত্রাপথে কুড়মিদের বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম ঘটল শুক্রবার রাতে। দহিঝুড়ি থেকে অভিষেকের গাড়ি শালবনির (Shalboni) দিকে চলে যাওয়ার পরই বাকি গাড়িগুলির উপর হামলা চালায় কুড়মি (Kurmi) সমর্থকরা। অভিযোগ, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার (Birbaha Hansda) গাড়িতে ঢিল ছোড়া হয়েছে। একের পর এক গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। তৃণমূল (TMC) সমর্থকদের বাইক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাঁশ, রড নিয়ে হামলা চালানো হয়। আক্রান্ত হয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। ইটের আঘাতে মন্ত্রী বীরবাহার গাড়ির চালকের চোখ গুরুতর জখম হয়। গাড়ি থেকে নেমে বীরবাহা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, এটা জনজাতি আন্দোলন নয়। আন্দোলনের নামে নোংরামি করছে কুড়মিরা। আমরাও জনজাতির আন্দোলন করেছি। আজকে যে নির্লজ্জ হামলা হল, কুড়মি আন্দোলনের নেতাদের তার দায় নিতে হবে।
এর আগে বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায় অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা চলাকালীন কুড়মিদের বিক্ষোভ চলে। তাতে অভিষেকের কনভয়ও আটকে যায়। বাঁকুড়ায় অভিষেক গাড়ি থেকে নেমে কুড়মি আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের দাবি দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়াতে অভিষেকর যাত্রাপথে কুড়মিরা পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে চোর চোর স্লোগানও দেওয়া হয়। তবে তাতে অভিষেকের গাড়ি বাধাপ্রাপ্ত হয়নি। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ঘিরে রেখেছিল। অভিষেকের কনভয় নিরাপদেই পুরুলিয়া ছাড়ে।
আরও পড়ুন: Adhir Choudhury | মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় ১৫০০র বেশি কর্মীর কংগ্রেসে যোগদান
এদিন রাতে অভিষেক শালবনি যাচ্ছিলেন। তাঁর গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পরে কনভয়ের একাধিক গাড়িতে হামলা হয়। সঙ্গে ছিল ক্যারাভানও। ইট, বাঁশ, রডের আঘাতে বহু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে পুলিশের গাড়িও। অভিষেক জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেলেও কী করে তাঁর যাত্রাপথে এরকম হামলা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিরাপত্তার চূড়ান্ত গাফিলতি হয়েছে বলে তৃণমূলের অন্দরে অভিযোগ উঠেছে। এদিনও কনভয় লক্ষ্য করে চোর চোর স্লোগান ওঠে। তৃণমূলের পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ হিমশিম খায়। কুড়মিদের হামলায় একাধিক তৃণমূল সমর্থক জখম হন বলে বীরবাহার অভিযোগ।