Friday, December 19, 2025
HomeScrollFourth Pillar | কুমিরও কাঁদছে, শুভেন্দু অধিকারীও কাঁদছে
Fourth Pillar

Fourth Pillar | কুমিরও কাঁদছে, শুভেন্দু অধিকারীও কাঁদছে

৮০ শতাংশ মুসলমান অধ্যুষিত কেন্দ্রে বাদের গড় হার ০.৬ শতাংশ, মতুয়া অঞ্চলে ৯ শতাংশ, রাজ্যে ৪ শতাংশ

Written By
অনিকেত চট্টোপাধ্যায়

২০০২ সালের এসআইআর তালিকার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়নি মাত্র ৩.৯৯ শতাংশ ভোটারের, যে সংখ্যাটা প্রায় ৩০.৫৯ লক্ষ। তাঁরা ডাক পাবেন শুনানিতে। তাঁদেরও বেশিরভাগের কাছে আছে সেই ১১টা ডকুমেন্টের অন্তত একটা-দুটো। কাজেই শেষমেষ খুব বেশি হলে লাখ দুই তিন বাদ পড়বে। তাহলে ওই যে উচ্ছৃষ্টভোগী মিডিয়া আর বঙ্গ বিজেপির টাকায় লালিত পালিত ইউটিউবারেরা দেখাচ্ছিলেন সীমান্ত পেরিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের চলে যাওয়া, পাড়া কে পাড়া, মহল্লা কে মহল্লা খালি হয়ে যাওয়া – সেগুলোর কী হল? কিন্তু আমরা যে কথা বলেছিলাম, তার প্রতিফলন কিন্তু এই নতুন তালিকাতে আছে। ৮০ শতাংশ মুসলমান অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলোতে বাদের গড় হার ০.৬ শতাংশ, মতুয়া অঞ্চলে বাদের হার গড়ে ৯ শতাংশ। আর রাজ্যে গড় বাদের হার ৪ শতাংশ। মৃত মানুষ বাদ দিলে, বাকিরা কারা? তারা কোন কোন বর্ডার দিয়ে পালিয়েছে? আরও খোলসা করে বলি, ‘Non Mapped Voters’-দের ৮০ শতাংশ মুসলমান অধ্যুষিত এলাকাতে যে শতাংশ বাদ পড়েছে তার কথা – সুজাপুর ০.৫ শতাংশ, ডোমকল ০.৪ শতাংশ, ভগবানগোলা ২.৬ শতাংশ, রাণীনগর ০.৯ শতাংশ, হরিহরপাড়া ০.৬ শতাংশ, রঘুনাথগঞ্জ ০.৭ শতাংশ, সামসেরগঞ্জ ১ শতাংশ, লালগোলা ১.১ শতাংশ। এবারে আসুন নন ম্যাপড ভোটার মতুয়া অধ্যুষিত অঞ্চলে – কৃষ্ণনগর উত্তর ৭.৫ শতাংশ, শান্তিপুর ৮.৫ শতাংশ, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম ১০.৩ শতাংশ, কৃষ্ণগঞ্জ ১০.৪ শতাংশ, রানাঘাট উত্তর-পূর্ব ১১.২ শতাংশ, রানাঘাট দক্ষিণ ৯.৩ শতাংশ, চাকদা ৯ শতাংশ, কল্যাণী ১১.৯ শতাংশ, হারিণঘাটা ৭.২ শতাংশ, বাগদা ১২.৭ শতাংশ, বনগাঁ উত্তর ১১.৩ শতাংশ, বনগাঁ দক্ষিণ ১০.৮ শতাংশ, গাইঘাটা ১৪.৫ শতাংশ, হাবড়া ১৩.৬ শতাংশ, অশোকনগর ১১.৮ শতাংশ। মানে মতুয়া অঞ্চলে বাদ পড়েছে গড়ে ৯ শতাংশ, আর রাজ্যের গড় ৪ শতাংশ। এবারে আসুন হিন্দিভাষী অঞ্চলে – কলকাতার জোড়াসাঁকো অঞ্চলে বাদ পড়েছেন ৭৩ হাজার মানুষজন, এখানে কি রোহিঙ্গারা থাকতেন? কলকাতা উত্তর আর দক্ষিণে হিন্দিভাষী এলাকাগুলোতে বিরাট সংখ্যক ভোটার হয় ফর্ম নেননি, না হলে ফর্ম জমাই দেননি।

সবে কলির সন্ধে। খসড়া তালিকা নিয়ে আরও একটু নাড়াঘাঁটা করলে বোঝা যাবে যে, কেন এক্কেবারে শুরুতেই বলেছিলাম মুখ পুড়বে শুভেন্দু অধিকারীর। আসলে এক ধরণের মানসিক রোগ, হ্যালুশিনেট করা, অশিক্ষা, নিজের সামর্থ্য সম্পর্কে ন্যুনতম ধারনা না থাকলে এই রোগ আরও বাড়ে। ওই যে আমাদের মহামানব, ভাবলেন কেউ জানে না, কেউ বোঝেনা, উনি সব জানেন, তাই নোট বন্দি করে দিলেন। ব্যস! কালো টাকা বেরিয়ে আসবে, আর উনি মহান হয়ে যাবেন, হয়নি। শুভেন্দু অধিকারীরও সেই রোগ আছে। প্রথমে উনি ভেবেছিলেন, মমতাকে মুসলিম তোষণকারী বললেই ৭০ শতাংশ হিন্দু ভোটের সবটাই না হলেও ৯০ শতাংশ চলে যাবে ওনার দিকে, তাহলে আর আটকায় কে? এখন বুঝেছেন ‘সে গুড়ে বালি’। তারপর একটা দীর্ঘ সময়জুড়ে ভেবেছিলেন যে, কোনওভাবে একটা রাষ্ট্রপতি শাসন চাপিয়ে দিলেই ব্যস, কেল্লা ফতেহ। এখন বুঝেছেন সেটা হবে না। এরপরে ভাবতে শুরু করলেন মমতা তো জেতে ভুয়ো ভোটার দিয়ে, কাজেই নির্বাচনের সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ছেয়ে ফেললেই খেল খতম, হয়নি। এবারে মাথায় ঢুকেছিল এসআইআর করলে বিরাট সংখ্যার অনুপ্রবেশকারীরা পালাবে, ভুয়ো ভোটার থাকবে না। কাজেই আরামসে হাতের মধ্যে এসে যাবে ক্ষমতা, নবান্নে শুভেন্দু হেডলাইন। ওনার কাছে খবর গিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ডায়ামন্ডহারবার আসনের প্রতিটা বুথে বিরাট ঘাপলা আছে, ২২০৮টা বুথের সিংহভাগই তো ওখানকার। বুথগুলোতে বিএলও-রা ভুল তথ্য দিয়েছেন। এখন জানা যাচ্ছে ওনার লোকজন ওনাকে কেবল খুশি করার জন্যই কিছু তথ্য যোগাচ্ছেন যার মাথা মুন্ডু কিছুই নেই। এবং ওই এসআইআর দিয়েই বধ হবে মমতা – এই হ্যালুশিনেশনটা কাটছে। প্রায় শেষের দিকে এসে বুঝতে পেরেছেন সে গুড়ে কাঁচের গুড়ো আর গ্যামাক্সিন। কিছুই হবে না। এবারে তাঁর এসকেপ রুট হল, এ রাজ্যে মমতাকে ক্ষমতায় রেখে এসআইআর করাই সম্ভব নয়, কাজেই রাষ্ট্রপতি শাসন না হলে কিছুই করা যাবে না, ইন ফ্যাক্ট উনি ২০২৬-এর এসকেপ রুটেরও ব্যবস্থা করে রাখলেন। এবং ওনার এক্কেবারে ক্লোজ কিছু আমচে চামচে বেলচাদের দিয়ে বলানোর চেষ্টা করছেন। এমনকি ইডি, সিবিআই-কেও ম্যানেজ করে নিয়েছে এই মমতা সরকার।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | গান্ধিজীকে বাদ দিয়ে সাভারকারের দেশ গড়তে চায় বিজেপি ?

এসব নিয়ে পরে কথা হবে, কিন্তু আমরা অনেকবারই বলেছি যে, এ রাজ্যে এসআইআর খুব একটা কার্যকরী হবে না, অন্তত বেশ কিছু সংখ্যালঘু ভোট বাদ দিয়ে দেবো, বেশ কিছু তৃণমূল সমর্থকদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হলেই তা ওই বুথ লেভেলেই আটকে যাবে। এটা ঘটনা যে, একটা কাঠামোগত পরিবর্তন যা নির্বাচন কমিশনকে এক কাঠপুতুল তৈরি করার সুযোগ করে দিয়েছে। সরকার মানে মোদি-শাহ যাঁকে চাইবেন সেই ভৃত্যই হবে নির্বাচন কমিশনার। এটা ঠিক। স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার দিকে ঝুঁকে পড়া পৃথিবীর সমস্ত দেশগুলোতে এটা এক অত্যন্ত পরিচিত কৌশল – যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো, আপনাকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করতে পারে, সেগুলোর দখল নাও। যখন দেশের নাগরিক আর বিরোধী দলগুলো নির্বাচনী রেফারির উপরেই আস্থা হারিয়ে ফেলে, তখন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। এ কেবল একটা প্রতিষ্ঠানের অবক্ষয় নয়, এটা পুরো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বৈধতাকেই চ্যালেঞ্জ করে। যখন ‘চওকিদার’ নিজেই ক্ষমতার হাতের পুতুল হয়ে যায়, তখন গণতন্ত্রের দুর্গ বিপন্ন হয়ে পড়ে। আজ ভারতে সেই বিপন্নতা ক্রমশই এক বিরাট চেহারা নিচ্ছে। আচ্ছা ভারতের গণতন্ত্রের এই হাল নিয়ে যে উদ্বেগ দেশের ভেতরে তৈরি হয়েছে, তা কি কেবল বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক অভিযোগ, নাকি এর কোনও বাস্তব ভিত্তি আছে? তাহলে আসুন তাকাই কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্টের দিকে, যারা বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে গবেষণা করে। সুইডেনের গোথেনবার্গ-ভিত্তিক ভি-ডেম ইনস্টিটিউট (V-Dem Institute) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিডম হাউস (Freedom House) – এই দুটো সংস্থার বার্ষিক রিপোর্ট বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের অন্যতম নির্ভরযোগ্য হিসেবে গণ্য হয়। আর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, এই দু’টো রিপোর্টই ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে এক উদ্বেগজনক ছবি তুলে ধরেছে। ভি-ডেমের রিপোর্ট ৪,২০০ জন বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি এবং এতে ১৭৮৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২০২ খানা দেশের প্রায় ৩১ মিলিয়ন ডেটাসেট বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে তারা যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, তা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুতর। ভি-ডেম ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত ২০১৮ সাল থেকেই আর এক পূর্ণাঙ্গ ‘নির্বাচনী গণতন্ত্র’ নয়। তাদের শ্রেণিবিন্যাসে ভারতকে এক ‘নির্বাচনী স্বৈরতন্ত্র’ (Electoral Autocracy) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মানে হল, ভারতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য স্বাধীনতা – যেমন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, স্বাধীন গণমাধ্যম, এবং এক নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা – এতটাই সংকুচিত হয়েছে যে, নির্বাচনগুলি আর পুরোপুরি অর্থবহ থাকছে না। নির্বাচন হয়ে উঠছে প্রহসন।

ভারতে আজ যে সংকট সবচেয়ে গভীর, তা কোনও সাম্প্রদায়িক পরিচিতির সংকট নয়, বরং তা হল ভারতের প্রজাতন্ত্রের আত্মার সংকট। বেঙ্গালুরুর এক বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট কারচুপির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, বিহারে লক্ষ লক্ষ নাগরিককে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার পদ্ধতিগত ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা, গণতন্ত্রের প্রহরী হিসেবে পরিচিত নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক অবক্ষয় এবং বিশ্বমঞ্চে ভারতের গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তির লাগাতার পতন – এগুলো কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এগুলো এক বৃহত্তর এবং পরস্পর সংযুক্ত রোগের উপসর্গ, যা ভারতের সাংবিধানিক কাঠামোকে ভেতর থেকে ক্ষইয়ে দিচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, ভারতের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ তো কোনও এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল নয়। এটা এক নিরন্তর সংগ্রামের ফল। এই সংগ্রাম চলছে সরকার প্রশাসনের ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার প্রবণতা এবং বিচারব্যবস্থা ও নাগরিক সমাজের গণতান্ত্রিক প্রতিরোধের মধ্যে। এই লড়াই চলছে তথ্যের অস্বচ্ছতা এবং তথ্যের অধিকারের মধ্যে। বিপদের ঘণ্টা বাজছে, এবং সেই ঘণ্টা শুনে দেশের নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা জেগে উঠবে? জেগে উঠে কীভাবে সংবিধানকে রক্ষা করার জন্য কতটা লড়বে? তার উপরেই নির্ভর করছে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ভবিষ্যৎ। লড়াইটা কঠিন, কিন্তু না, এখনও শেষ হয়ে যায়নি। আর তার শুরুয়াত হতেই পারে এই বাংলা থেকে। হ্যাঁ, এই বাংলা থেকে। কে করবে? তৃণমূল? সিপিএম? বামেরা? সিভিল সোসাইটি? বা সবাই মিলে? নাকি যে যার মতো? যেভাবেই হোক, সবাই রাস্তায় নামলে বাংলায় এই চুরি করা অসম্ভব।

আসুন আবার সেই পাঁচটা পয়েন্টে, যেগুলো এই নির্বাচনকে এক প্রহসন করে তুলতে পারে সেগুলোতে ফেরত যাই। (১) ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভোটের আগে টাকা বিলানো। সম্ভব নাকি এই বাংলায়? বিজেপি করার আগে তো সেই কাজ হাতে নেবে রাজ্যের সরকারে থাকা তৃণমূল দল। আর বিহারের পরে বিজেপি বা নির্বাচন কমিশন কোন মুখে তাকে আটকাবে বা বিরোধিতা করবে? (২) ডুপ্লিকেট ভোটার, গোটা রাজ্যে ১০ থেকে ১৫ হাজারের বেশি এমন ভোটার থাকবে না, থাকা সম্ভব নয়। কারণ বিজেপির না থাকলে, তৃণমূলের তা আটকে দেওয়ার ক্ষমতা আছে, এখনও কিছুটা হলেও বামেদের মাটিতে সংগঠন আছে। এখানে ওটা সম্ভব নয়। (৩) ট্রেনে করে, বাসে করে আনা এই বাংলাতে সম্ভব নয়, কারণ প্রশাসন তৃণমূলের হাতে আছে, আটকে যাবে। (৪) নাম বাদ দেওয়া আরও অসম্ভব, চেষ্টা চরিত্র করলেও হাজার খানেক নামও বাদ দেওয়া যাবে না। (৫) সিসিটিভি ফুটেজ? যেখানে গন্ডোগোল হবে, সেখানেই স্থানীয় প্রশাসন যাবে, তাদের উপরে প্রথম আর কড়া নির্দেশ আগে সিসিটিভি ফুটেজ হাতে নেওয়ার, সরকারের নির্দেশ থাকলে সেটা সম্ভব। এবং তখন সামলানো যাবে না। না বাংলা বিহার নয়, এখানের মাটি আলাদা, মানুষও আলাদা, এখানে নির্বাচন কমিশনের নানান তিকড়মবাজি আমরা দেখেছি, না বাম আমলে না তৃণমূল আমলে, তাদের সেই কায়দাবাজী কাজে দেয়নি। এবারেও দেবে না। আর এই ছবিটা ক্রমশ পরিস্কার হয়ে আসছে এসআইআর-এর কাজ চলার সময়েই। যত গলা ফাটানো হোক, আজ বলছি মিলিয়ে নেবেন ২৫ থেকে ৩০ লক্ষের বেশি না বাদ যাবে না, যা স্বাভাবিক। আর সেই তখন থকেই মুখ পুড়বে শুভেন্দু অধিকারীর। সেটা বুঝতে পেরেই তিনি ধৈর্য হারাচ্ছেন, ছটফট করছেন আর তত বেশি করে জালে আটকে যাচ্ছেন। কারণ প্রথমেই বলেছি। বিপদে পড়লে ধৈর্যই আপনার প্রথম হাতিয়ার, ধৈর্য হারালেই চেক মেট, আর সেই চেক মেট-এর ছবিটা সামনে আসতেই মোদিজির মগরমচ্ছ, মানে কুমিরও কাঁদছে, শুভেন্দু অধিকারীও কাঁদছে।

দেখুন ভিডিও:

Read More

Latest News