মাঝেমধ্যেই কিছু মানুষজনকে দেখি কোনও তথ্যের ভিত্তিতে নয়, কোনও সংবাদ সূত্রের ভিত্তিতে নয় জাস্ট মনে হল আর লিখে ফেললেন বলে ফেললেন। ক’দিন আগে বলা হচ্ছিল দিলীপ ঘোষ সন্ন্যাস নেবেন, ক’দিন পরে এক প্রাজ্ঞ গলা ফাটাতে শুরু করলেন, অভিষেকের নতুন দলের রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে, ব্যস, মমতা জমানা শেষ। এখন বলছেন ইডির জন্য নাকি ওটা হল না। তো এনাদের বোঝা যায়, নিজেরা ভেসে থাকার জন্য নানান গুজব ছড়ান, এঁরাই হলেন সেই ‘জানিস তো আমি সোমা বলছি’, সেই সোমার ভাই বন্ধু বয়ফ্রেন্ড, কাকা মামা। আর এক ধরনের আছে তাঁরা হলেন বাংলা তো চুলোর দোরে গেছে, বাংলাতে কিচ্ছু নেই, আইন শৃঙ্খলা নেই, চারিদিকে ধর্ষণ, পড়াশুনো, শিক্ষা স্বাস্থ্য সব ভোগে গেছে। এনাদের নাক সুড়সুড় করলে ভেলোরের টিকিট কাটার তোড়জোড় শোনা যায়। তো সত্যিই নাকি অবস্থাটা তেমন খারাপ? সত্যিই দিনে দিনে পশ্চিমবাংলা ছারেখারে যাচ্ছে? বলবেন এ তো সিপিএম-এর মুখপত্রে রোজ লেখা হয়, হবেই তো, সিপিএম-এর মুখপত্রে কি রাজ্যের উন্নয়ন আর বিকাশের খবর লেখা থাকবে? আবার ধরুন রাজ্য সরকারের তথ্য ভান্ডার, সেখান থেকে তথ্য ধার করলেই আমি খেলব না বলে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন অনেকেই। সরকারের তথ্যে তো জল মেশানো থাকবেই, মাঝেমধ্যে দুধে জল নয়, জলে দুধ মেশানোরও অভিযোগ আছে। তাহলে উপায়? উপায় হল ডলু মামি পদি পিসির ছেলে আর পদি পিসি ডলু মামির ভাগনেকে নিয়ে যা বলেছে, তা বার করা গেলে খানিক সত্যি বেরিয়ে আসার চান্স থাকে। তো সেরকম কিছু তথ্য পাওয়া গেছে নীতি আয়োগের এক রিপোর্টে, তেনারা মাল্টি ডাইমেনশনাল পভার্টি ইনডেক্স, বহুমুখি দারিদ্র সূচকের এক বিশাল রিপোর্ট বার করেছেন যেখানে কেবল একটা আধটা নয়, বহু বিষয়, ঘর, খাবার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জন্মমৃত্যুর হার এরকম বহু বিষয়কে ধরে এক রিপোর্ট বার করেছেন। নীতি আয়োগের এই পেপারগুলো মোটের উপর ভালো, ভালো মানে বিশ্বাসযোগ্যতা আছে।
তো চলুন সেই রিপোর্ট থেকেই কিছু তথ্য নিয়ে আলোচনাতে নামা যাক। নামার আগেই ভাবলাম মারি তো গন্ডার, লুটি তো ভান্ডার, যদি তুলনাই করতে হয়, তাহলে এই বাংলার সঙ্গে গুজরাটের তুলনা করা যাক, কারণ ক’দিন পরেই তো চোলায় চোলায় বাজবে জোয়ের ভেড়ি বলে হাজির হবেন তিনি, আর ইনি তো মাঠে নেমেই পড়েছেন। কাজেই আজকের আলোচনা বাংলা আর গুজরাটের এই মাল্টি ডাইমেনশনাল পভার্টি রিপোর্ট নিয়েই করব। ঐতিহাসিকভাবেই বাংলা অনেক অনেক এগিয়ে ছিল, বাংলা ছিল ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী, ইংরেজদের প্রথম বাণিজ্য পত্তনের শহর, তার আগে এক দীর্ঘ আর্টিজান ইকোনমির ইতিহাস, মসলিন শাড়ি থেকে মাটির ঘড়া, তামা, রুপো, কাঁসা, পেতলের নানান সামগ্রী, সিল্ক থেকে সুতি, বাণিজ্যের বিশাল তালিকার সঙ্গে বিরাট জাহাজ বন্দরের সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল এই বাংলায়। স্বাভাবিকভাবেই সারা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বাংলা অনেক অনেক এগিয়ে ছিল। কিন্তু প্রথমে ব্রিটিশরা রাজধানী সরিয়ে নিয়ে গেল, তারপরে দেশভাগ, কাঁচা মালের জোগান পড়ে রইল ওপার বাংলাতে, এপারে খাঁ খাঁ করছে জুটের কারখানা, তারপরে শুল্ক সমীকরণ নীতির অভাবে আমাদের কয়লা কমদামে বিক্রি হল, তুলো আমরা বেশি দামে কিনলাম। এবং সেই ক’ বছর বিধান রায়ের পর থেকেই শুরু হল এক বঞ্চনার ইতিহাস, লাগাতার বঞ্চনা। কলকাতা থেকে সরে গেল বড় বড় দফতরের হেড অফিস, কিছু বচাখুচা যা ছিল তাও মোদিজির কল্যাণে সরে যাচ্ছে, এবং মধ্যে এক বিরাট বাম শাসন। যাঁরা ক্ষমতায় এসেছিলেন বিপ্লব করবেন বলে, লক্ষ্য জনগণতন্ত্র, খায় না মাথায় দেয় তা জানা নেই, জানা ছিল না কিন্তু সেটাই ছিল লক্ষ্য। আর বিপ্লব যখন লক্ষ্য তখন মনে রোমাঞ্চ জাগবেই, এই পুঁজিবাদী সামন্তদের সরকার কি এক বিপ্লবী সরকারকে রেখে দেবে, ক’দিনের মধ্যে ফেলে দেবে, এটাই ছিল বিপ্লবী সিপিএম-এর ধারণা এবং বিশ্বাস, খানিকটা রামের আঁতুড়ঘর অযোধ্যাতেই সেরকম এক দৃঢ় বিশ্বাস, লক্ষ্মী সেন তখন পার্টি ক্লাসের আগে জোর দিয়েই বলতেন কমরেড বিপ্লব হবেই, চুরুট মুখে প্রমোদ দাশগুপ্ত, সংক্ষেপে পিডিজিকে দেখলে চে গ্যেভারা মনে হওয়ার কথা নয় কিন্তু বিপ্লব যে উনি করেই ছাড়বেন তা তো মনেই হত। কাজেই সরকার কিছুই করতেন না, ঘুষ খেতেন না, কাজও করতেন না, শিক্ষা আর ভূমি সংস্কার এই দুটোতে খানিক জোর দেওয়া হয়েছিল বটে, কিন্তু সেটাও দলের মধ্যের বিপ্লবীদের সমালোচনাকে মাথায় রেখে পেটিবুর্জোয়া ঝোঁক নিয়ে বহু আশঙ্কা মাথায় রেখেই সে সব হয়েছিল।
কিন্তু বেসিক ইকোনমিক্স, বুনিয়াদি অর্থনীতি চৌপাট, শিল্প মায়ের ভোগে। প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের দু’ নম্বর মন্ত্রী কৃষ্ণপদ ঘোষের হাতে ছিল শ্রম দফতর, শিল্প নয়। ক্রমে বিপ্লবীরা বুঝিলেন, বিপ্লব হবে না, আর হলেও তাঁরা করবেন না, বুদ্ধ ভট্টাচার্য তো পুজোসংখ্যায় ওসব হবে না গোছের লেখা লিখেও ফেললেন, এবং তাঁদের হুঁশ ফিরল, বুদ্ধ ভট্টাচার্য মন্ত্রিসভার দু’ নম্বর মন্ত্রী সাইবাড়ির খোকন সেন, নিরুপম সেন হলেন শিল্পমন্ত্রী, প্রায়োরিটি বদলাল, কিন্তু অনভ্যাসের ফোঁটা চড়চড় করে, শিল্প বলে হেড আপিসের বড়বাবুর হঠাৎ খ্যাপা হয়ে ওঠার মধ্যে ভুলভ্রান্তি ছিল অবশ্যম্ভাবী, কমিউনিস্টদের শিল্পায়ন বলে কথা, এক্কেবারে ঘেঁটে ঘ, ল্যাজে গোবরে হয়ে পপাত চ, মমার চ। কিন্তু ইতিমধ্যে রাজ্যের অর্থনীতির গঙ্গাযাত্রা শুরু হয়ে গেছে, ২০১৬-তে রাজ্য সার্বিক হিসেবে এই নীতি আয়োগের পরে করা হিসেবেই ২৩ নম্বরে। এই জায়গা থেকে আসুন এবারের নীতি আয়োগের এই রিপোর্টে। এক তুলনামূলক আলোচনা, গুজরাট এবং পশ্চিমবঙ্গ। ২০২১-২০২২-এর রিপোর্ট বলছে গুজরাটের মাথাপিছু আয় ২.৫০ লক্ষ টাকা আর আমাদের বাংলায় মাথাপিছু আয় ১.২৪ লক্ষ টাকা। মানে গুজরাটের একজন মানুষ গড়ে এই বাংলার একজন মানুষের দ্বিগুণের সামান্য বেশি টাকা রোজগার করে। অনেকে এটুকু শুনেই হেঁ হেঁ বাবা বলেছিলাম, এটাই তো বলবেন, দাঁড়ান দাঁড়ান, কহানি মে টুইস্ট হ্যায়। কেন এই মাথাপিছু আয় অনেকটা বেশি, কোন হিসেবে তা নিয়ে একটু পরে কথা বলছি।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | যত অনাসৃষ্টি, দায়ী আওরঙ্গজেবের গুষ্টি
আসুন এবারে দেখা যাক, দারিদ্রের হার কমছে, সারা দেশেই খানিক করে কমছে, তো এই দুটো রাজ্যে দারিদ্রের হ্রাসের গতির তুলনা করা যাক। পশ্চিমবঙ্গ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার গুজরাটের তুলনায় অনেক দ্রুত হারে কমিয়েছে। কতটা? ২০১৪/১৫ থেকে ২০২৩-এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে দারিদ্র্যের হার ৯.৪ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে, ২০১৪-১৫তে ছিল ২১.৩ শতাংশ আর ২০২২-২৩-এ যখন এই রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে তখন এই হার ১১.৮৯ শতাংশ), অন্যদিকে গুজরাটে এই হার ৬.৮ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে, ২০১৪-১৫ তে ছিল ১৮.৫ শতাংশ, ২০২২-২৩-এ সেটাই এখন ১১.৬৬ শতাংশ)। মানে খুব পরিষ্কার বাংলায় দারিদ্রের হার বহু রাজ্যের তুলনায় অনেক দ্রুত গতিতে কমছে। আসুন এবারে ওই নীতি আয়োগের হিসেব অনুযায়ী দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যার দিকে নজর দেওয়া যাক। যদিও পশ্চিমবঙ্গে দারিদ্র্যের হার শুরুতে বেশি ছিল, তবুও এ রাজ্য দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যায় গুজরাটকে ছাড়িয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে ৯২.৫৮ লক্ষ মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হয়েছে, যেখানে গুজরাটে এই সংখ্যা ৪৭.৮৪ লক্ষ, তার মানে এই বাংলার প্রতি ১১ জনের একজন ওই দারিদ্র সীমারেখা টপকাতে পেরেছে, যেখানে গুজরাটে ১৫ জনে একজন সেই সীমারেখা পার করতে পেরেছে। এই হিসেবগুলো করা হয়েছিল ১২টা মূল সূচকের হিসেবকে এক জায়গাতে এনে সেগুলো হল, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিশু-কিশোরের মৃত্যুর হার, মানসিক স্বাস্থ্য, শিক্ষা – কতবছর ছাত্ররা পড়াশুনো করছে, স্কুলে তাদের অ্যাটেনডেন্স কেমন? জীবনের মান – রান্নার জ্বালানি, স্যানিটেশন, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, ঘর, সম্পত্তি আর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
রিপোর্ট বলছে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক মাল্টি ডাইমেনশনাল পভার্টি ইনডেক্স -এর বেশিরভাগ সূচকে বাংলা এগিয়ে। পশ্চিমবঙ্গ বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকের ১২টি সূচকের মধ্যে ৯টিতে গুজরাটের তুলনায় দ্রুত অগ্রগতি দেখিয়েছে। রিপোর্ট বলছে ওই ন’টা সূচকে প্রথমটা হল শিক্ষা, হ্যাঁ স্যর আঁতকাবেন না, মোদিজির নীতি আয়োগের হিসেব বলছে, গুজরাটের চেয়ে গড়ে আমাদের রাজ্যের ছাত্ররা স্কুলে বেশি আসে। মানে অ্যাভারেজ ইয়ারস অফ স্কুলিং-এ বাংলা এগিয়ে। স্কুল আটেনডেন্স, মানে সপ্তাহে মাসে তারা কতদিন স্কুলে আসছে, সেই হিসেবেও গুজরাটের চেয়ে বাংলা এগিয়ে। এবারে আসুন স্বাস্থ্যের মাপকাঠিতে, Child and Adolescent Mortality, শিশু আর বয়স্ক কিশোরদের মৃত্যুহার এ রাজ্যে অনেক কম, গুজরাটের তুলনাতে কম তো বটেই। মানসিক স্বাস্থ্য, সেই মাপকাঠিতেও বাংলার শিশুরা গুজরাটের চেয়ে অনেক এগিয়ে। পুষ্টিতে কামাল করেছে বাংলা, অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা গুজরাটে অনেক বেশি, অপুষ্টি অনেক বেশি। জীবনযাত্রার মানের হিসেবে দেখা যাচ্ছে মোদিজির ওই উজ্জ্বলা যোজনার বিরাট সাহায্য পেলেও গুজরাটে কাঠ আর কয়লার চুল্লিতে অনেক বেশি রান্না হচ্ছে, বাংলাতে তার অনেক অনেক কম। স্বচ্ছ ভারতের যে বাওয়াল মোদিজি দিয়ে থাকেন সেই মাপকাঠিতেও গুজরাট অনেক অনেক পিছিয়ে, ঘরের আওতার মধ্যে টয়লেট তৈরির সংখ্যাতেও বাংলা এগিয়ে আছে। বাংলাতে স্বচ্ছ জলের জোগান বেশি, ৩০ মিনিটের মধ্যে পানীয় জলের জোগান আছে আর সেই জলের মান ভালো, নীতি আয়োগ এই কথা জানাচ্ছে। অত্যন্ত দরিদ্ররাও পানীয় জল পাচ্ছে যা গুজরাটে মিলছে না। অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে পশ্চিমবাংলার গ্রামীণ মানুষদের সম্পদে বৃদ্ধির হার গুজরাটের চেয়ে বেশি। শিশু ও কিশোর মৃত্যুহার দ্রুত হ্রাস এবং মাতৃস্বাস্থ্যে উন্নতির কথা বলেছি, হিসেবটা হল পশ্চিমবঙ্গ পুষ্টির ঘাটতি কমাতে যে সাফল্য অর্জন করেছে তা কম নয়।
২০১৪-১৫-তে ৩৩.৬ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩-এ ২৭.৩ শতাংশে নেমে আসা, ৬.৩ শতাংশ পয়েন্ট উন্নতি, যেখানে গুজরাটে এই উন্নতি তুলনামূলকভাবে কম, ২০১৪ -১৫-তে ৪১.৩৭ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩-এ ৩৮.০৯ শতাংশ। রিপোর্ট লিখছে দারিদ্র্যের তীব্রতা হ্রাস: দারিদ্র্যের তীব্রতা, যা দরিদ্রদের মধ্যে বঞ্চনার গভীরতা পরিমাপ করে, পশ্চিমবঙ্গে বেশি হ্রাস পেয়েছে ৪৫.৫ শতাংশ থেকে ৪২ শতাংশ, যেখানে গুজরাটে এই হ্রাস তুলনামূলকভাবে কম ৪৪.৯ শতাংশ থেকে ৪৩.২৫ শতাংশ। এই হিসেব বলে দেয় যে পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্ররা গড়ে অনেক বেশি সংখ্যায় বঞ্চনা থেকে মুক্ত হয়েছে। হ্যাঁ, এটাই হিসেব, আসলে এই হিসেব প্রান্তিক মানুষের, এক্কেবারে গরিবস্য গরিব মানুষেরাই এই সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের জীবনযাত্রার মান একটু হলেও ভালো হচ্ছে, গুজরাটের থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক অনেক ভালো। এবারে আসি সেই কথাটায় যা বলব বলেছিলাম, কেন গুজরাটের মাথাপিছু আয় বেশি, আগে যা যা বলেছি সব তো সত্যি, বাংলা ভাগ হয়েছে, এক দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস, বামেদের পরিস্থিতি বুঝে ওঠার অক্ষমতা এসব তো ছিলই, যার ফলে বাংলার মাথাপিছু আয় কমেছে, অন্যদিকে সারা দেশে সেই শুরুর থেকেই বাণিজ্যের সমস্ত সুযোগ সুবিধে নেওয়ার পরে বিশেষ করে মোদি আমলে বিলিয়নিয়ার তৈরি হয়েছে গুজরাটে, তাদের হাতে সরকারের, দেশের সম্পদ তুলে দেওয়া হয়েছে আর সেই জাদুকাঠির ছোঁয়াতেই গুজরাটের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, সেই বিলিওনিয়ার, মিলিওনিয়ারদের বসবাস আমেদাবাদের এপাশে ওপাশে, সে সব এলাকা বাদ দিয়ে হিসেবটা কষলে আমাদের দরিদ্রতম জেলার থেকেও মাথাপিছু আয় কমে যাবে, এটাও নিশ্চিত, ওই দ্বিগুণের বেশি মাথাপিছু আয় মানে গুজরাটে বাসিন্দাদের আয় নয়, মোদি অনুগ্রহে বেড়ে ওঠা ব্যবসায়ীদের আয়।