সদ্যই বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন সেলিব্রেটি কাপল্ আমির খান- কিরণ রাও। যৌথ বিবৃতি দিয়ে বিচ্ছেদের খবর ঘোষণা করার পরই আমির- কিরণের দাম্পত্য নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। কিরণ নাকি আমির কে দায়ি বিচ্ছেদের জন্য – রীতিমতো খাপ বসিয়ে চলছে বিচার।
বলিউড অভিনেতা আমির খানের প্রাক্তন পত্নী কিরণ রাওর স্কুল জীবন কেটেছে এই কলকাতা শহরে। আর এই সুবাদে কিরণ স্বচ্ছ বাংলা বলতে পারে। নার্সারি থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত তিনি পড়তেন কলকাতার লরেটো স্কুলে। তারপর তিনি পাড়ি দেন মুম্বাই শহরে। এরপর বলিউডে আস্তে আস্তে পা রাখেন কিরণ। তারপর বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রতারকা আমির খানের সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
প্রসঙ্গত, এই শহরে দীর্ঘ সময় কাটানোর ফলে অনেকের সঙ্গেই তার বন্ধুত্ব হয়েছিল। একই স্কুলের ছাত্রী ছিলেন এই কলকাতারই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এক ক্রিকেটারের পত্নী। হ্যাঁ সৌরভ পত্নী ডোনা গাঙ্গুলি এই লরেটো স্কুলেরই ছাত্রী ছিলেন। যদিও তিনি কিরণের থেকে দু বছরের জুনিয়র ছিলেন। যেহেতু আলাদা ক্লাসে পড়তেন খুব বেশি কথা হতো না। কিন্তু ডোনা তখন থেকে চিনতেন কিরণ রাওকে। ডোনার কথায়,’আমাদের ফিল্ড অফ ইন্টারেস্ট যেহেতু আলাদা ছিল তাই খুব বেশি আলাপচারিতা হতো না। আলাদা ক্লাসে পড়া সত্বেও কিন্তু আমরা দুজনে দুজনকে চিনতাম। কিরণ একসময় কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের পিছনের একটি ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকতেন। সে কথা ডোনাকে তিনি বহু বছর পর যখন আমির খানের সঙ্গে সৌরভ গাঙ্গুলীদের বাড়িতে এসেছিলেন তখন বলেছিলেন। কলকাতা শহরটা যে তার অত্যন্ত প্রিয় সেকথা আবেগের ছলে লাঞ্চ সারতে সারতে সৌরভ পত্নীকে জানিয়েছিলেন। স্কুলে তাদের দেখা হতো মাঝে মাঝে। তারপর অনেকদিন পর বেহালার বাড়িতে এসে সেসব স্মৃতি রোমন্থন করেছেন কিরণ-ডোনা। তারপর শচীনের ভারতীয় ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর মুম্বইতে যে ফেয়ারওয়েল পার্টি হয়েছিল সেখানেও সৌরভ ডোনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল আমির-কিরণের। সেখানেও বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে ছিলেন ডোনা- কিরণ।
ডোনার স্মৃতিতে ভিড় করে আছেন কিরণ। তাঁর কানেও পৌঁছেছে আমির- কিরণের বিচ্ছেদের খবর। এই সেলিব্রেটি কাপলের বিচ্ছেদ নিয়ে ডোনার একটাই মত, কিরণ এবং আমির দুজনই অ্যাডাল্ট। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত একান্ত তাঁদের নিজেরদেরই। এ বিষয়ে চর্চা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। দুনিয়ায় অনেকেরই বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে। তবে সেলিব্রেটিদের বিচ্ছেদ হলে তা নিয়ে চর্চাটা বেশি হয়। এখানেই আপত্তি ডোনার। তাঁর মতে, সেলিব্রেটিদের কাজের নিরিখে মনে রাখা হোক। তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন চর্চার বাইরেই থাকুক। সেলিব্রেটিরা থাকুন মনে, তাদের কাজের মধ্যে দিয়ে।ছোটবেলার বন্ধুর বিবাহ বিচ্ছেদের খবরে ডোনা বলেছেন, ‘ওরা দুজনেই যথেষ্ট ম্যাচিউরড, দুজনের সমঝোতা করেই এই পথ বেছে নিয়েছে। এখানে আক্ষেপের কিছু থাকতে পারে না।’
এ প্রসঙ্গেই ডোনা শেয়ার হওয়া এক ভিডিওর কথা উল্লেখ করলেন। যেখানে আমির খান বলছেন,’আমরা বুঝতে পারছি আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর আপনাদের আঘাত করেছে। তবে বিশ্বাস করুন আমরা ভাল আছি।আমরা এখনো পরিবারের মতই আছি ।শুধু রাস্তাটা আলাদা হয়েছে মাত্র। আমরা সব প্রজেক্টের কাজ একসঙ্গে বন্ধুর মতই করবো।’