রামপুরহাট: প্রতিশ্রুতি রাখলেন মমতা৷ খুশি বগটুই-এর স্বজনহারারা৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করল রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক প্রশাসন৷ শনিবার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছে দিল ত্রাণ সামগ্রী৷ তুলে দেওয়া হল আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেক৷ এদিন রামপুরহাট ১ নম্বর সমষ্টি উন্নয়ন দফতর থেকে ত্রাণের গাড়ি পাঠানো হয় বাতাসপুরে৷ এখানেই আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনহারা পরিবারেরা৷ তাদের হাতে বিশ্ব বাংলা লোগো (Viswa Bangla Logo) লাগানো ব্যাগে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন দফতরের কর্তারা৷ ত্রাণ ও টাকার চেক পেয়ে খুশি রামপুরহাট অগ্নিকাণ্ডে (Rampurhat Violence) নিহত পরিবারগুলো৷ জানিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে আছেন৷ এতেই তারা খুশি৷
সোমবার রাতে বগটুই-এর গ্রামে নৃশংস হত্যালীলার দু’দিন পর সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ স্বজনহারা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি৷ নিহতের এক আত্মীয় মিহিলাল শেখ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হয়ে সেদিন ‘ইনসাফ’ চেয়েছিলেন৷ সেই মিহিলাল এদিন ত্রাণ সামগ্রী পেয়ে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা ধারাবাহিকভাবে পালন করে যাচ্ছেন৷ উনার কাজ, ব্যবহার এবং আচরণে আমরা সন্তুষ্ট৷’ বাতাসপুরে মিহিলাল সেখের শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনহারারা৷
মমতা যেদিন বগটুইয়ে এসেছিলেন সেদিনই মৃত আট জনের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ জেলা প্রশাসনকে দিয়েছিলেন৷ জানিয়েছিলেন, এ ব্যাপারে কোনও কার্পণ্য করা চলবে না৷ যাঁদের বাড়ি পুড়ে গিয়েছে তাদের প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে দিতে হবে ঘর বানানোর জন্য৷ প্রয়োজনে দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে৷ পাশাপাশি জখম তিন শিশুর জন্য ৫০ হাজার টাকা করে এবং গুরুতর জখমদের এককালীন এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ ক্ষতিপূরণ পেয়ে মিহিলাল এদিন বলেন, ‘সরকার পাশে দাঁড়িয়েছে৷ তারা কর্তব্য পালন করছে৷ আজকে মোট ২০ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়৷’