কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ১৩ ঘন্টা পর সোমবার রাত ১২.৪০ নাগাদ দিল্লির ইডি দফতর থেকে ছাড়া পেলেন রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার ফের তাঁকে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হবে। সোমবার প্রায় সাড়ে ১৩ ঘন্টা জেরার মাঝে ঘণ্টাখানেকের বিরতি দিয়ে ইডির আধিকারিকরা ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ নিয়ে তাঁকে নানা প্রশ্ন করেন। তাঁর বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়। সূত্রের খবর, শেষ মুহূর্তে রাহুল বয়ান কিছু অদলবদলও করেন।
এদিনও বেলা ১১.৩০ নাগাদ রাহুল ইডি দফতরে পৌঁছে যান। কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে বিজেপি ইডির মাধ্যমে অযথা গান্ধী পরিবারকে হেনস্তা করছে। এর প্রতিবাদে এদিন কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রীরা দিল্লির যন্তর-মন্তরে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। একই সঙ্গে এই মঞ্চ থেকে অগ্নিপথ প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়। মঞ্চে অন্য কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন AICC-র অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও।
গত ১৩ জুন থেকে পর পর তিনদিন প্রায় ৩০ ঘন্টা ধরে রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দুঁদে অফিসাররা। মাঝে একদিনের বিরতি দিয়ে শুক্রবারও তাঁকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু মায়ের অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি শুক্রবার হাজির হননি। ওই সময়েই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর একটি অস্ত্রোপচারও হয়। করোনা পরবর্তী উপসর্গ নিয়ে তিনি ১২ জুন থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সনিয়াকেও একই ইস্যুতে ১৩ জুন তলব করেছিল ইডি। কিন্তু তার আগের দিনই অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
আরও পড়ুন- Sonia Gandhi: ৮ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সনিয়া
১৩ তারিখ থেকেই রাহুলকে তলবের প্রতিবাদে দিল্লি-সহ সাড়া দেশে পথে নামেন কংগ্রেসের সব স্তরের নেতা কর্মী। পুলিসের হাতে তাঁদের হেনস্তাও হতে হয়। এর প্রতিবাদে সোমবারই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন।