প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে ইউরোপ। সর্বকালের রেকর্ড পার করে ৪০ ডিগ্রির উপর পৌঁছল ব্রিটেন সহ পশ্চিম ইউরোপের তাপমাত্রা । এশিয়ার একাধিক গ্রীষ্ম প্রধান দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে ফেলেছে ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল, ইতালি, গ্রীস এমনকী লন্ডনও। কোথাও কোথাও আবার তাপমাত্রার পারদ ৪৩ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। গরমে হিমসিম অবস্থা ইউরোপবাসীর। ব্রিটেনের ইতিহাসে তাপমাত্রা কখনওই ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে বলে রেকর্ডে নেই। এর আগে ব্রিটেনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছিল ৩৮.৭ ডিগ্রি। যা হয়েছিল ২০১৯ সালে কেমব্রিজে। আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই চরম তাপমাত্রার জন্য লাল সংকেত জারি করেছে।
ব্রিটেনের ইতিহাসে এই প্রথম তাপপ্রবাহের কারণে ‘রেড অ্যালার্ট বা লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহবিদদের আশঙ্কা ১০০ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে ব্রিটেনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িযে যাবে।
স্পেনে কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা ৪০ ওপর উঠছে। পর্তুগালে তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪৭ ডিগ্রির কাছে। পশ্চিম ফ্রান্সের বিস্তীর্ণ এলাকা, পর্তুগাল, স্পেন, ইতালি সহ আরও অনেক দেশে দাবানলের আগুনে হাজার হাজার হেক্টর জমি ও বাড়িঘর পুড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে ২০ হাজারেরও বেশি লোককে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছে। প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ইউরোপ ও ব্রিটেনের বিশাল অংশ জুড়ে এখন খরা পরিস্থিতি চলছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এসব দেশে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাইরে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। শারীরিক অসুস্থতা এড়াতে বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা এজেন্সি ইংল্যান্ডের জন্য চতুর্থ স্তরের সতর্কবার্তা জারি করেছে। আবহাওয়াবিদদের কথায়, এরকম ঘটনা নজিরবিহীন। কারণ ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ এবং ইউরোপ একটি শীতপ্রধান এলাকা বলেই চিরকাল পরিচিত। কাজেই এই দেশগুলিতে যারা বাস করেন তাদের কাছে এই প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ এক চরম ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়ে থাকছে।