কলকাতা: বাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাই কোর্ট। ভর্ৎসনা-জরিমানা করল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। মূলত তিনটি বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রথমত, ভাড়ার তালিকা সব বাসে লাগানো রয়েছে কি না। দ্বিতীয়ত, সরকারের বেঁধে দেওয়া বা নির্ধারিত ভাড়া বেসরকারি বাসগুলো নিচ্ছে কি না। পাশাপাশি কোথাও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। তৃতীয়ত, যাত্রীদের অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তা জানানো হয়নি।
মিনিবাস ও বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে হলফনামা চাওয়ার পরও কেন সময় মতো দিতে পারেনি পরিবহণ দফতর? তাদের কাছে কি পর্যাপ্ত তথ্য নেই? এ দিন সেই প্রশ্ন তোলে আদালত। রাজ্যের মোটর ভেহিকেল আইনের (১৯৮৯) ১৭৫ ধারা অনুযায়ী, যাত্রীদের অভিযোগ নেওয়ার কথা বলা হলেও, বেশির ভাগ বাসে তা নেই বলে অভিযোগ।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি বেঁধে দেওয়া ভাড়া নেওয়ার বালাই নেই কলকাতা-সহ সংলগ্ন অঞ্চলে। যে যেমন ইচ্ছে ভাড়া নিচ্ছে। এখনও নিয়মানুযায়ী বাসে ন্যূনতম ভাড়া ৭ টাকা। কিন্তু সেই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। অলিখিতভাবেই ন্যূনতম ভাড়া ১০ টাকা হয়ে গিয়েছে। অথচ সরকার ভাড়া বাড়ায়নি। এই নিয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।