জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো করার অনুমতি চেয়ে দায়ের হওয়া আবেদনের শুনানিতে অনুমোদন দিল বারাণসী জেলা আদালত। ওই ব্যাপারে অঞ্জমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটির আবেদন সোমবার খারিজ করে দিয়েছেন জেলা বিচারক। উল্লেখ্য ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে পাঁচজন হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতর দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। যার বিরোধিতা করেছিল মসজিদ কমিটি।
অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’র আইনজীবী বারাণসী জেলা আদালতে জানিয়েছিলেন, ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা আইন অনুযায়ী এই বিষয়ে কোনও আবেদনের শুনানি হতে পারে না। তিনি জানান, ব্রিটিশ আমলেও জ্ঞানবাপীর জমিতে মন্দির গড়ার দাবি উঠেছিল। কিন্তু জ্ঞানবাপীতে নমাজের ব্যবস্থাএ বহাল থাকে ইলাহাবাদ হাইকোর্টর রায়ে। পাশাপাশি মসজিদ কমিটির যুক্তি, আপাতত আদালতে দাবি উঠেছে, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের জমি কোনও দিনই ওয়াকফ সম্পত্তি ছিল না। কিন্তু বছর খানেক আগে কাশী বিশ্বনাথ ধাম করিডর তৈরির জন্য মন্দির ট্রাস্ট মসজিদের সামনের অংশের জমি পেতে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের সঙ্গেই চুক্তি করে।
উল্লেখ্য ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে পাঁচজন হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতর দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। যার জেরে দায়রা আদালতের বিচারক নিযুক্ত একটি কমিটি মসজিদের ভিতরে সমীক্ষা ও ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দিয়ে পর্যবেক্ষক দল গঠন করে। সেই ভিডিয়োগ্রাফির রিপোর্র্ট ফাঁস হয়ে যায় আর তাতে নাকি জানানো হয় মসজিদে নমাজ পড়ার আগে প্রথা অনুযায়ী হাত-পা ধোওয়ার জন্য যে পুকুরটিু আছে তাতে নাকি শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। কিন্তু ওই রিপোর্ট নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। সেই কাজ শেষ হওয়ার পরে চলতি বছরের ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পায় বারাণসী জেলা আদালত। সোমবার ওই শুনানি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেন বিচারক।1