ফের খবরের শিরোনামে ভ্লাদিমির পুতিনের স্বাস্থ্য। কী সমস্যায় ভুগছেন রুশ প্রেসিডেন্ট? সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা কিছু ছবি আর একটি প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে এহেন জল্পনা। অনেকেই মনে করছেন, পুতিনের শারীরিক অবস্থা ক্রমশই আরও খারাপ হচ্ছে। পাশাপাশি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের স্নায়বিক চাপ তাঁর স্বাস্থ্যে বিলক্ষণ ছাপ ফেলছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘এক্সপ্রেস’-এ সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে যথেষ্ট শোরগোল তৈরি হয়েছে। পুতিনের কয়েকটি ছবির প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। ওই ছবিগুলির বেশ কয়েকটিতে পুতিনের হাতে কালো ছাপ দেখা যাচ্ছে। অবশ্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, এগুলি ইঞ্জেকশনের দাগ। কারণ, শারীরিক কারণে রুশ প্রেসিডেন্টকে নাকি এত বেশি ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে যে হাত ছাড়া শরীরে আর কোনও জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টে হাউস অফ লর্ডসের সদস্য রিচার্ড ডানাট-এর বক্তব্য, “পুতিন তাঁর শারীরিক অবস্থা ঠিক যেমন ভাবে দেখাতে চান আদপে তা কতটা সত্যি, সেই সম্পর্কে আসল তথ্যটা পাওয়াই সব থেকে জরুরি। পর্যবেক্ষকরা দেখেছেন তাঁর হাত কালো হয়ে যাচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এগুলি ইঞ্জেকশনের দাগ। শরীরের বাকি অংশে ইঞ্জেকশন না দেওয়া গেলেও হাতে দেওয়া সম্ভব।”
সম্প্রতি একটি মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয় রুশ প্রেসিডেন্টের শরীরে ক্যানসার অনেকটা ছড়িয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে ওই রিপোর্টে আরও জানানো হয়, গত মার্চ মাসে রুশ প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। একইসঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের পরিস্থিতি তাঁকে মানসিকভাবে অনেকটাই চাপের মধ্যে রেখেছে। চলতি মাসেই ৭০ বছরে পা দিয়েছেন পুতিন। বার্ধ্যকের এই স্তরে ইউক্রেন যুদ্ধে ক্রমাগত নানা দিক থেকে ধাক্কা খাওয়া রুশ প্রেসিডেন্ট অবশ্য ভাবতেও পারেননি এই প্রতি-আক্রমণের পাল্টা ঝাঁকুনিটাও তাঁকে হজম করতে হবে।