গান্ধীনগর: আশির দশকের শেষে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর আমলে দুটি ভারতের কথা উঠে এসেছিল। একটি ধনীর ভারত ও আরেকটি গরিবের ভারত। প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী (rajib Gandhi) ১৯৮৫ সালে বলেছিলেন, ১০০ পয়সার মাত্র ১৫(15%) পয়সা আসলে প্রাপকদের (intended beneficiary) কাছে পৌঁছয়। এখন আধুনিক যুগে ২০২২ সালে দেখা যাচ্ছে বরাদ্দে তা খরচ হচ্ছে মাত্র ৬ শতাংশ। গুজরাতে মোরবি জেলার মাচ্ছু নদীতে গত ৩০ অক্টোবর সেতু বিপর্যয়ের পর যে তত্ত্ব সামনে আসছে। যে পরিমাণ টাকা গুজরাতের ওই সেতু সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল, তার মাত্র সামান্য অংশ আসলে খরচ করা হয়েছে। যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (narendra modi) নিজের রাজ্য গুজরাতে বিজেপি সরকারকে বিঁধেছে বিরোধীরা।
জানা গিয়েছে, মোরবির ১৪৩ বছরের ওই ফুটব্রিজ সংস্কারের (morbi bridge) জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ২ কোটি টাকা। বিপর্যয়ের পর তদন্তে উঠে এসেছে, অথচ ওই সংস্কারের জন্য খরচ করা হয়েছে মাত্র ১২ লাখ (12 lakh) টাকা। যে সংস্থা এর দায়িত্বে ছিল সেই ওরেভার পক্ষ থেকে ৬ মাস সংস্কারের পর ২৪ অক্টোবর জানিয়ে দেওয়া হয়, সেতুটি গুজরাতি (Gujarat) নববর্ষে চালুর জন্য তৈরি। ওই দুর্ঘটনায় ১৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তারপরই সারা দেশজুড়ে বিরোধীরা সমালোচনার ঝড় বইয়ে দেন।
আরও পড়ুন Earthquake: উত্তরকাশীতে ফের ভূকম্পন, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৪ দশমিক ৫
তার মানে দেখা যাচ্ছে, উন্নয়নের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়, তার মাত্র খুব কম পরিমাণ টাকা এখন মানুষের কাজে ব্যয় করা হচ্ছে এটি তার একটি নিদর্শন। সেটা বোঝাতে রাজীব গান্ধী তখন ১৫ শতাংশ তত্ত্বর কথা বলেছিলেন। তারপর গুজরাতের গা বেয়ে আরব সাগর দিয়ে অনেক জল বইয়ে গিয়েছে। অর্থনীতির সংস্কার, তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব সহ দিল্লির মসনদের বহু উত্থান পতন ঘটেছে। ৫৬ ইঞ্চির ছাতি দ্বিতীয়বারের টার্ম শেষ করে দুবছরের মধ্যে তৃতীয় টার্মে অবতীর্ণ হতে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন। কিন্তু, যেটা পরিষ্কার তা হল, বরাদ্দ অর্থের ব্যয়ে মানুষের আসল সুবিধা প্রাপ্তির আরও অবনতি ঘটেছে।এমনই বক্তব্য ওয়াকিবহাল মহলের।