মেয়ের কাছে হারলেন লালুপ্রসাদ যাদব, কিন্তু, কোথায়? পড়ুন প্রতিবেদনহেরে গেলেন লালুপ্রসাদ যাদব। বিহারের দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাজনীতিক। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান। কিন্তু, তিনি জেলে ছিলেন। তারপর এখন তো তাঁর ভোটে দাঁড়ানোয় নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। এখন কোনও ভোট নেই বিহারে। তাহলে কোথায় হারলেন তিনি? হারলেন নিজের মেয়ের (daughter) কাছে। ডাক্তাররা বলেছেন, দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে তাঁকে। তার প্রেক্ষিতে লালুপ্রসাদের দ্বিতীয় মেয়ে রোহিণী আচার্য তাঁর একটি কিডনি বাবাকে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, মেয়ের এখন ৩০-এর কোঠায় বয়স। ওই কিডনি দিলে তাঁর মেয়ের সারা জীবন যদি কোনওভাবে বিপন্ন হয়? সেই উৎকণ্ঠায় মেয়ের কিডনি নেবেন না বলে জানিয়ে দেন দৃঢ়চেতা ওই রাজনীতিক। কিন্তু, একসময় ভেড়া চড়ানো থেকে পরবর্তীতে দেশের রাজনীতির শিখরে পৌঁছনো লালুর সঙ্কল্প মেয়ের জোরাজুরির কাছে হার মানল। হার হল বাবার অপত্য স্নেহেরও। প্রথমে না করলেও শেষে মেয়ের কিডনি নিতে রাজি হয়েছেন তিনি। এই মাসেই সিঙ্গাপুরে তাঁর ওই কিডনি প্রতিস্থাপন হওয়ার কথা।
গত অক্টোবর মাসে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন লালু। সেখানেই ডাক্তাররা তাঁকে কিডনি (kidney) প্রতিস্থাপন করতে বলেন। জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বর মাসের ২০ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন হতে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির এইমস হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন লালুপ্রসাদ।
তাঁর দ্বিতীয় কন্যা সিঙ্গাপুরনিবাসী রোহিণী আচার্য বাবার অসুস্থতা নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন। তিনিই সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য বাবাকে নিয়ে আসেন। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের (consultant doctor) কাছে পরবর্তী চিকিৎসা নিয়ে পরামর্শ নেন লালু। তাঁরা নিকটাত্মীয়ের কিডনি নিলে অস্ত্রোপচার অনেক বেশি সফল হতে পারে বলেও জানান। লালুপ্রসাদ-রাবড়িদেবীর নয় সন্তানের একজন রোহিণী প্রথমে আমেরিকায় থাকলেও এখন সিঙ্গাপুরের(Singapore) বাসিন্দা। তবে দিদি মিসা ভারতীর মতো তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে নামেননি। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক মত প্রকাশে অত্যন্ত সক্রিয় লালুর এই মেয়ে।