Wednesday, June 11, 2025
HomeরাজনীতিAITC Meeting: গোষ্ঠীবাজি বন্ধ করুন, হুঁশিযারির সুর তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়ার...

AITC Meeting: গোষ্ঠীবাজি বন্ধ করুন, হুঁশিযারির সুর তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়ার গলায়

Follow Us :

চাঁদড়া: দয়া করে গোষ্ঠীবাজি বন্ধ করুন। অনেক হয়েছে, আর নয়। যারা গোষ্ঠীবাজি, ঝগড়া করবেন তাদের কিন্তু আর তৃণমূল কংগ্রেসে স্থান হবে না। বৃহস্পতিবার বিকেলে মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়ায় তৃণমূলের (AITC) এক দলীয় কর্মসূচিতে কার্যত হুঁশিযারির সুর মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়ার গলায়। দলের ওই সভায় বিধায়কের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। 

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, “কোন নেতার স্ত্রী, দিদি ,বোন বলে আপনারা পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে যোগ্য হলে অবশ্যই  সুযোগ পাবেন। আবার কোন সংরক্ষিত আসনে নেতার বউ ভোটে জয়ী হয়ে বাড়িতে রান্না করছেন আর নেতা ছড়ি ঘোরাচ্ছেন- সেটা চলবে না। মহিলা আসন হলে মহিলারা এগিয়ে আসুন। কোন গ্রুপ চলবে না। একজোট হয়ে প্রত্যেকটা ব্লকে গিয়ে মিটিং  (Meeting) করবেন। দরকার পড়লে অন্য অঞ্চলে গিয়েও মিটিং করতে হবে।”

আরও পড়ুন:রাজনৈতিক প্ররোচনায় পুলিশকে কামড়ালে পুলিশ কি রসগোল্লা ছুড়বে ? মেদিনীপুরে বললেন তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি

তবে বিধায়কের এহেন বক্তব্যের পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস সরাসরি খোঁচা দিয়েছেন জুন মালিয়াকে। তিনি বলেন- “যে দলটা গোষ্ঠী কোন্দল থেকে তৈরী সেটি কখনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছেড়ে থাকতে পারে না৷ উনি নিজেও সেটা জানেন৷ কয়েকদিন আগেও বিধায়ক শিউলি সাহাও এব্যাপারে বলেছিলেন৷ এটা কথার কথা, সেটা সবাই জানেন৷ জুন মালিয়ার (June Malia) সঙ্গে দলের জেলা সভাপতিরই গোষ্ঠী রয়েছে৷”

উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে দলের অন্তর্কলহ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা। দলের ভেতরে বিরোধিতাকে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না সেকথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। দলের কেশপুর এলাকার গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে সম্প্রতি মেদিনীপুরে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের সব শিবিরের নেতারাই মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে ৷ কারন ওই পরিস্থিতিতে দলের সমস্ত নেতা- কর্মীরা এক না হলে জঙ্গলমহল সহ দক্ষিণবঙ্গের কিছু জায়গায় পঞ্চায়েত জয় কঠিন হবে বলেই মনে করছে শাসক দল৷ তাই সমস্ত স্তরের নেতারাই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর বার্তা দিচ্ছেন দলের ওই সব বৈঠকে৷

RELATED ARTICLES

Most Popular