নয়াদিল্লি: যে কোনও সাইকো-ক্রাইম থ্রিলারকে দুয়ো বলে হার মানাবে ‘খুনি’ আফতাব আমিন পুনাওয়ালার কাহিনি। এই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ পরতে পরতে উদ্ধার করে চলেছে একের পর এক রহস্য। যা পৃথিবীর যে কোনও নৃশংস হত্যাকাণ্ডকেও লজ্জা দিতে পারে। শ্রদ্ধাকে খুনের পর নতুন কেনা ফ্রিজে তার দেহ রেখেই ফ্ল্যাটে নতুন বান্ধবী এনে রাত কাটিয়েছিল আফতাব।
পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঠিক পরপরই বাম্বল নামে একটি ডেটিং অ্যাপ ডাউনলোড করে সে। সেখানে আরও একটি যুবতীর সঙ্গে সে ভাব জমায়। পেশায় মনস্তত্ত্ববিদ ওই যুবতীকে মেহরৌলির ফ্ল্যাটেও নিয়ে আসে। মেয়েটি জানতেই পারেনি যে ঘরের ফ্রিজে তখন রয়েছে শ্রদ্ধার টুকরো করা দেহ।
আরও পড়ুন: Birbhum Incident: আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ছেন পুরুষ -মহিলারা, সাঁইথিয়ায় বম্ব স্কোয়াড
শুধু তাই নয়, তদন্তে নেমে পুলিশ আরও ১২টি দেহাংশ উদ্ধার করেছে। সেই টুকরোগুলি শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএ-র সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ। সেগুলি শ্রদ্ধার, নাকি অন্য কারও সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা। আফতাবকে নিয়ে যেখান থেকে ২৮ বছরের শ্রদ্ধার দেহের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখানে যায় পুলিশ। ওই জায়গা থেকে আরও ১২টি টুকরো পাওয়া গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই বাম্বল ডেটিং অ্যাপেই ২০১৯ সালে আফতাবের সঙ্গে শ্রদ্ধার পরিচয় হয়েছিল। ১৮ মে শ্রদ্ধা মাদান নামে ওই যুবতীকে খুন করে মুম্বইয়ের বাসিন্দা আফতাব। কিন্তু, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন গত জুন এবং জুলাইয়ে নতুন বান্ধবীকে নিয়েও ফ্ল্যাটে এসেছিল সে। শুধু তাই নয়, খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে রাখতে আফতাব তার সঙ্গিনী শ্রদ্ধার হোয়াটস অ্যাপের উত্তর দিত। ক্রেডিট কার্ডের টাকাও জমা দিয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে শ্রদ্ধার পরিচিতদের জবাব দিত, যাতে তারা মনে করে শ্রদ্ধা বেঁচে আছে।
দিল্লির এই হাড়হিম করা খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক রং লেগে গিয়েছে। তেজস্বী যাদবের আরজেডি এবং নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দল আফতাবের দৃষ্টান্তমূলক ও কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছে।