বীরভূম: সোমবার বীরভূমে শাসকদলের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর মঙ্গলবারও থমথমে পরিবেশ বীরভূমের সাঁইথিয়ার গহরাপুর গ্রাম। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় দুই পক্ষের মোট ১২ জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও গ্রামে পুলিশি টহলদারি চলছে। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। এরপরও গোটা গ্রাম পুরুষ শূন্য। অশান্তির আশঙ্কায় বাচ্চাদের নিয়ে গ্রাম ছাড়ছেন মহিলারাও।
এদিন সকালেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলেও এখনও চাপ চাপ রক্তের দাগ। পড়ে আছে খালি বালতি। এই বালতি করেই বোমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
বিস্ফোরণে তৃণমূল কর্মী শেখ সাদ্দামের ডান পা উড়ে যায়। ১৪ বছরের এক কিশোরের গোটা শরীরে বোমার আঘাত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুজনেই সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গতকাল ও আজ সকাল পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৩৫টি তাজা বোমা। এদিন নিস্ক্রিয় করতে গ্রামে পৌঁছয় বম্বস্কোয়াডের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হলেও মূল অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে বীরভূমের সাঁইথিয়া তৃণমূল ব্লক সভাপতি সাবের আলি ও সাঁইথিয়া তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তুষারকান্তি মণ্ডলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। শুরু হয় বোমাবাজি। সোমবার বিকেলে তুষার মণ্ডল গোষ্ঠীর এক তৃণমূল কর্মী বাবু শেখ বাতাসপুরে একটি বিশেষ কাজে গেলে সাবের আলি গোষ্ঠীর লোকজন তাঁকে আটকে রেখে মারধর করে বলে অভিযোগ। তৃণমূল কার্যকরী সভাপতির কর্মীরা বাবুকে ছাড়াতে গেলে হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষে পরিণত হয়। চলে ব্যাপক বোমাবাজি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।