বালিতে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের (Trade Union) সমাবেশ হযেছিল গত ১৩ নভেম্বর। প্রধান বক্তা ছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। শনিবার সেই সমাবেশের পাল্টা সভায় মাঠ ভরাতে পারল না তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন (INTTUC)। মঞ্চে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের হাওড়া জেলার তাবড় নেতারা উপস্থিত থাকলেও মাঠে কর্মীদের সংখ্যা চোখে পড়ার মত কম ছিল। ফাঁকা পড়েছিল প্রচুর চেয়ার। মঞ্চে তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় ( বক্তব্যের সময়ও বালি স্কুল মাঠের কার্যত বেশির ভাগটাই ফাঁকা পড়েছিল। যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে।
শনিবার দুপুরে হাওড়া স্টেশন লাগোয়া গাড়ি পার্কিংয়ে (Car Parking) শাসক দলের সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। জমায়েতকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দলে জড়িয়ে পড়েন শাসক দলের বিবাদমান দুই গোষ্ঠী। এক গোষ্ঠীর সদস্যরা অন্য গোষ্ঠীর সদস্যদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। একে অপরকে বেধড়ক মারধর করে। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ৫-৬ জন আহত হয়। পরে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শনিবার উত্তর হাওড়ায় শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে সভার (Meeting) আয়োজন করা হয়। ওই সভায় যোগদান করার জন্যই হাওড়া স্টেশন লাগোয়া পার্কিং এলাকায় জমায়েত আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়। অভিযোগ, জমায়েতের সময় কোনও প্ররোচনা ছাড়াই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের (AITC)শ্রমিক সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা।
যদিও এই ঘটনাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলতে নারাজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হাওড়া সদরের সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায় (Prasun Banerjee)। তিনি জানান যারা মারামারি করেছে তাঁরা কেউ তাঁদের দলের সদস্য নয়। বরং তাঁরা বিজেপির (BJP) কর্মী। এভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে তৃণমূলকে বদনাম করার চক্রান্ত হয়েছে। ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই।