কলকাতা: শীত (Winter) এসেছে, তাই এসেছে পরিযায়ীরা। হাজার হাজার মাইল পার করে এই শীতকালেই পরিযায়ী পাখিরা (Migratory Birds) উড়ে আসে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের নানা প্রান্তে। আমাদের এই গ্রীষ্মপ্রধান দেশ ভারতে শীতকাল মানেই পর্যটন আর ভ্রমণপিপাসু বাঙালির কাছে শীতে বেড়াতে বেরিয়ে দেশ-বিদেশের পাখি দেখা একটা অন্যতম আকর্ষণ। শুধুমাত্র বাঙালিদের কথাই বা বলব কেন, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে শীতকালে উড়ে আসা পরিযায়ী পাখিরা অন্যতম আকর্ষণ। ক্যালেন্ডারের পাতায় তারিখের চাকা মাঝ ডিসেম্বরের গড়িয়েছে, সেই সঙ্গে শীতের আমেজ বাড়তেই পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসতে শুরু করেছে দেশ-বিদেশের অতিথি পাখিরা। কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর লেক (Rabindra Sarobar Lake) এবং হাওড়ার সাঁতরাগাছির ঝিলে (Samtragachi Jheel) রঙ-বেরঙয়ের হরেক রকম পরিযায়ী পাখিদের ভিড় বাড়তেই লোকজনের মধ্যে উৎসাহ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। সামনেই বড়দিন (Christmas), তারপর ইংরেজি নতুন বছরকে (New Year) স্বাগত জানানোর উপলক্ষ। ছুটি পেলেই শীতের সকালে, দুপুরে ও বিকেলে এই অতিথিদের সঙ্গী করেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটবে আমাদের অধিকাংশেরই।
আরও পড়ুন: Disha Patani-Alexendar Alex RelationShip Rumours : প্রেমের গুঞ্জনে ইতি
পশ্চিমবঙ্গের নানান জেলায় পাখিরালয় (Bird Sanctuary) রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর লেক, হাওড়ার সাঁতরগাছি ঝিল, রাজারহাটের পাখিবিতান, পূর্বস্থলি, সুন্দরবন, কুচবিহারের রসিকবিল, বীরভূমের বল্লভপুর ওয়াইল্ডলাইফ স্যাঙ্কচুয়ারি ইত্যাদি। খবরে প্রকাশ, এবারের শীতে এখনও পর্যন্ত বাংলায় বিভিন্ন স্থানের মধ্যে বীরভূমের পাখিরালয়েই সবচেয়ে বেশি ভিড় জমিয়েছে পরিযায়ী পাখিরা। পরিযায়ী পাখিদের সুমারি নিয়ে যে রিপোর্ট জমা পড়ছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান প্রধান যে জলাশয়গুলিতে (Lakes) পরিযায়ী পাখিরা এসে ভিড় জমায়, এমন ৫৪টি জলাভূমির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন জেলাতে অনেক ছোট ছোট বহু জলাশয়েও পরিযায়ী পাখিরা ভিড় জমায়। রিপোর্টে তারও উল্লেখ রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, এই শীতে রাজ্যে এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ ২৫ হাজারের কাছাকাছি পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা হয়েছে। পাখি বিশেষজ্ঞদের আশা, বড়দিন এবং ইংরেজি নিউ ইয়ার আসতে আসতে রাজ্যের বিভিন্ন পাখিরালয়গুলিতে পরিযায়ী পাখিদের ভিড় আরও বাড়বে।
শীতের মরশুমে পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতে পরিযায়ী পাখিদের আগমণ শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে ইন্টারনেটের কল্যাণে ফোন কিংবা কম্পিউটার স্ক্রিনে দেখা শ্বেতশুভ্র বরফের চাদরে ঢাকা সাইবেরিয়ার (Siberia) সুবিশাল ভূমি। তবে শুধু সাইবেরিয়া নয় প্রবল শৈত্যপ্রবাহের হাত থেকে বাঁচতে ইউরোপ মহাদেশের (Europe) বিভিন্ন দেশ, রাশিয়া (Russia), চীন (China) এবং তিব্বত থেকেও উড়ে আসে পরিযায়ী পাখিরা। কারণ, ভারতে শীত পড়লেও, তিনদিক থেকে সমুদ্রে ঘেরা হওয়ায় আমাদের এই দেশ তুলনায় উষ্ণ। বিদেশি পাখিদের জন্য আদর্শস্থান আশ্রয় নেওয়ার। শীতের শেষে তারা আবার ফেরত যাবে পুরনো পথে নিজের দেশে। ততোদিন ওরা পরিযায়ী হলেও, আমাদের দেশে অতিথি।
 এসেছে, তাই এসেছে পরিযায়ীরা। হাজার হাজার মাইল পার করে এই শীতকালেই পরিযায়ী পাখিরা (Migratory Birds) উড়ে আসে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের নানা প্রান্তে। আমাদের এই গ্রীষ্মপ্রধান দেশ ভারতে শীতকাল মানেই পর্যটন আর ভ্রমণপিপাসু বাঙালির কাছে শীতে বেড়াতে বেরিয়ে দেশ-বিদেশের পাখি দেখা একটা অন্যতম আকর্ষণ। শুধুমাত্র বাঙালিদের কথাই বা বলব কেন, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে শীতকালে উড়ে আসা পরিযায়ী পাখিরা অন্যতম আকর্ষণ। ক্যালেন্ডারের পাতায় তারিখের চাকা মাঝ ডিসেম্বরের গড়িয়েছে, সেই সঙ্গে শীতের আমেজ বাড়তেই পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসতে শুরু করেছে দেশ-বিদেশের অতিথি পাখিরা।){kind=link}