হায়দরাবাদ: স্পষ্ট মনে পড়ছে ব্রেন ক্যান্সারে (Brain Cancer) আক্রান্ত শিশুটির হাসি মুখ। হুইলচেয়ারে (Wheel Chair) বসেছিল। ছয় বছরের সেই শিশুটিকে (Child) যখন চিকিৎসা করছিলাম একান্তে বলল, আমার আয়ু বেশি দিন নেই। আমি সেকথা জানি। আইপ্যাডে আমি সব পড়ে নিয়েছি। কিন্তু, আমি যে জানি সে কথা মা-বাবাকে বলবেন না। হকচকিয়ে গিয়েছিলেন ডাক্তার (Doctor)। তাঁর কিছুক্ষণ আগেই ওই শিশুটির মা-বাবা ডাক্তারকে অনুরোধ করেছেন, শিশুটির যে ক্যান্সার হয়েছে সে কথা যেন তাকে না জানানো হয়। কিন্তু, কথা রাখতে পারেননি। শিশুটির কথা মা-বাবাকে জানিয়েছিলেন ডাক্তারবাবু। তাতে শাপে বর হয়েছে। শিশুটির ইচ্ছায় সুন্দর জায়গা ঘুরে এসেছিল ওই পরিবার। যে ঘটনা মনে করতে গেলে ডাক্তারের চোখে জল চলে আসে। গত ৫ জানুয়ারি করা হায়দরাবাদের (Hyderabad) একটি বেসরকারি হাসপাতালের (Private Hospital) ডাক্তার সুধীর কুমারের (Sudhir Kumar) ওই টুইট লক্ষ লক্ষ মানুষের মোবাইলে ভাইরাল (Viral) হয়েছে।
ওই নিউরোলজিস্ট (Nurologist) টুইটে (Tweet) লেখেন, তখন আমি ওপিডিতে ব্যস্ত ছিলাম। সেসময় ওই তরুণ দম্পতি সেখানে আসেন। তাঁরা জানান, বাইরে আমাদের সন্তান মানু আছে। তার ক্যান্সার (Cancer) হয়েছে। কিন্তু, আমরা সেকথা তাকে বলিনি। তাকে দেখুন। শুশ্রুষার ব্যবস্থা করুন। ওর যে ক্যান্সার হয়েছে সে কথা ওকে বলবেন না। শিশুটির গ্লায়োব্লাস্টোমা মাল্টিফোর্ম গ্রেড ফোর ক্যান্সার ধরা পড়ে বাঁদিকের মস্তিষ্কে (Brain)। তার জন্য ডান হাত ও পা অসাড় হয়ে যায়। মানু ডাক্তারকে বলে, ‘ডাক্তারবাবু আমি আইপ্যাডে সব রোগ সম্পর্কে পড়ে নিয়েছি। আমি জানি যে আমি আর মাত্র ছয় মাস বাঁচব। আমি আমার মা বাবার সঙ্গে সে কথা আলোচনা করিনি। কারণ তারা দুঃখ পাবে। তারা আমাকে খুব ভালোবাসে। দয়া করে একথা তাদেরকে বলবেন না।‘
আরও পড়ুন: Drunk Man Urinates On Woman: বিমান প্রস্রাবকাণ্ডে নয়া মোড়, ব্ল্যাকমেলের সন্দেহ অভিযুক্তর বাবার
ওই টুইটে ডাক্তার আরও লিখেছেন, নয় মাস পরে ওই দম্পতির সঙ্গে ডাক্তারের দেখা হয়েছিল। ওই ডাক্তারবাবু শিশু মানুর স্বাস্থ্যের কথা জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা জানায়, মানু আর নেই। তবে আপনার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর আমরা মানুর সঙ্গে ভালো সময় কাটিয়েছি। মানু চেয়েছিল ডিজনিল্যান্ড দেখতে। আমরা তাই করেছি। ওই সেরা আট মাস উপহার দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।