নয়াদিল্লি: বিশ্বের সবথেকে নিরাপদ ও বজ্রআঁটুনি দেওয়া পাসপোর্টের (Powerful Passports) মধ্যে ভারতের (India) ‘৫৬ ইঞ্চি’ পাসপোর্টের অবস্থান ৮৫ নম্বরে (85th position)। ভারতের সঙ্গে এক বেঞ্চে বসে আছে মরিশাস এবং উজবেকিস্তান। মোট ১৯৯টি দেশের একটি তালিকায় ভারত বেশ পিছনের সারিতে রয়েছে, যদিও নয়াদিল্লির আহ্লাদের কারণ পাকিস্তানের অবস্থান দুর্বলতর পাসপোর্টের সারিতে।
২০২৩ সালের হেনলে পাসপোর্ট ইনডেক্সে ভারত অবশ্য আগের বছরের থেকে সামান্য উন্নতি করেছে। গতবছর ভারত ছিল ৮৭ নম্বরে। হেনলে অ্যান্ড পার্টনার্স হল নাগরিকত্ব এবং আবাসিক বিষয়ক পরামর্শদাতা একটি সংস্থা। তারা বিশ্বের সব দেশের পাসপোর্টের শক্তি বা ক্ষমতা যাচাই করে। কীভাবে তা ঠিক করা হয়? বিষয়টি হল এরকম যে, নির্দিষ্ট কোনও একটি দেশের পাসপোর্ট দেখিয়ে সর্বোচ্চ কতগুলি দেশ ভ্রমণে যাওয়া যায়, তার উপর নির্ভর করে সেই দেশের পাসপোর্টের ক্ষমতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা।
আরও পড়ুন: WHO: উজবেকিস্তানে কাশির সিরাপ খেয়ে ১৮ শিশুর মৃত্যু, ভারতীয় সংস্থার ওষুধকে নিষিদ্ধ করল হু
উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, ভারত থেকে আমেরিকা যেতে হলে আগে থেকে ভিসার আবেদন করতে হয়। সেই ভিসা পরীক্ষা ও যাচাইয়ের পর অনুমোদন পায়। কিন্তু, জোরাল পাসপোর্টধারী দেশের নাগরিকের অগ্রিম ভিসার আবেদন জরুরি নয়। সেদেশে পৌঁছেও ভিসা করে নেওয়ার সুবিধা রয়েছে ওই পাসপোর্টে। এককথায় বলা যায়, কোন দেশের নাগরিকরা অন্য বিদেশি দেশের কাছে সবথেকে বেশি নিরাপদ কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে তারা মনে করে, তার সংখ্যা যত বেশি হবে সেটাই এই তালিকার শীর্ষে থাকবে।
রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতীয়রা কেবলমাত্র ৫৯টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণে যেতে পারে। অর্থাৎ মোদির ভারতকে ওইকটি দেশ ছাড়া অন্যরা তেমন বিশ্বাস করে না, কিংবা বলা যায় ভারতীয় পাসপোর্টের তথ্যাবলি ও জ্ঞাতব্য নথি নিয়ে বহু দেশের মধ্যেই সন্দেহ আছে। জাপান এনিয়ে পরপর পাঁচবার শীর্ষে রয়েছে। জাপানি পাসপোর্টধারীরা ১৯৩টি দেশে বিনা ভিসায় যাতায়াত করতে পারেন।
আফগানিস্তান এই তালিকার সবচেয়ে তলানিতে (১০৯) আছে। আফগান নাগরিকরা মাত্র ২৭টি দেশে ভিসা ছাড়া যেতে পারেন। আফগানিস্তানের একটু উপরেই আছে পাকিস্তান (১০৬)। পাকিস্তানি নাগরিকরা মাত্র ৩২টি দেশে ভিসা-মুক্ত যাতায়াত করতে পারেন। আমেরিকার পাসপোর্ট এই তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে।