জেনেভা: আবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) কোপে পড়ল ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা। উজবেকিস্তানে (Uzbekistan) শিশুমৃত্যুর পর সে দেশে নয়ডার (Noida) মারিয়ন বায়োটেক (Marion Biotech) সংস্থার দুটি কাশির সিরাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে ওই দুটি সিরাপকে ‘সাবস্ট্যান্ডার্ড মেডিক্যাল প্রোডাক্ট’ বলে দেগে দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই মেডিক্যাল প্রোডাক্ট অ্যালার্টে (Medical Product Alert) দুটি সিরাপের কথা বলা হচ্ছে যা উজবেকিস্তানে পাওয়া গিয়েছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গোচরে এসেছে ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ‘সাবস্ট্যান্ডার্ড’ পণ্য দুটি হল অ্যামব্রোনল সিরাপ এবং ডক-১ ম্যাক্স সিরাপ। দুটির উৎপাদনকারী সংস্থা ভারতের উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মারিয়ন বায়োটেক। এই সব পণ্যের জন্য নির্মাতা সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে কোনও গ্যারান্টি দেয়নি।
আরও পড়ুন: Ozone Layer: পৃথিবীর সুরক্ষা আবরণী ওজোন স্তর সেরে উঠতে আর কয়েক দশক, জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জ
উজবেকিস্তানে কাশির সিরাপ (Cough Syrup) খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৮ শিশুর। এই ঘটনা চাউর হতেই স্ক্যানারের তলায় আসে মারিয়ন বায়োটেক সংস্থা। হু জানিয়েছে, উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গুণমান নিয়ন্ত্রক পরীক্ষাগারে কাফ সিরাপ দুটির পরীক্ষা করা হয়েছিল। নমুনায় মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ ডাইথিলিন গ্লাইকল এবং অথবা ইথাইলিন গ্লাইকল নামক বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গিয়েছে।
হু-এর আশঙ্কা, ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও হয়তো এই প্রোডাক্ট দুটি বিক্রির অনুমতি রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বাস্থ্য বিষয়ক শাখা জানিয়েছে, সিরাপ দুটি বিশেষ করে শিশুদের জন্য নিরাপদ নয় এবং এটি সেবনে মারাত্মক অসুস্থতা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। গত ২২ ডিসেম্বর উজবেকিস্তান অভিযোগ করে মারিয়ন বায়োটেকের ওষুধ খেয়ে ১৮টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এতদিন পর গত মঙ্গলবার নয়ডায় মারিয়নের ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করেছে উত্তরপ্রদেশের ফুড সেফটি অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।