নয়াদিল্লি: ২০২২ সালের মতো ২০২৩ সালেও প্রচণ্ড গরম (Extreme Hot Temperature) পড়বে। আর তার কারণ হল, ফিরতে চলেছে এল নিনো (El Nino)। বলা হচ্ছে, দীর্ঘ তিন বছর পর ফিরছে আবহাওয়ার এই বিষ্ময়কর ঘটনা (Weather Phenomenon)। ফলে চলতি বছরে প্রচুর গরম পড়বে, তাপমাত্রায় ব্যাপক বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করবে বিশ্ববাসী। গত বছরই ন্যাশনাল এরোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (National Aeronautics and Space Administration) সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, ১৯ শতকে পৃথিবীর যে তাপমাত্রা ছিল, তার তুলনায় ২০২২ সালে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (Degree Centigrade) বাড়বে। সেই ঘটনাই ঘটেছে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (Indian Meteorological Department – IMD)-এর দেওয়া তথ্য বলছে, ১৯০১ সালের পর থেকে ধরলে ২০২২ সাল পৃথিবীর পঞ্চম উষ্ণতম বছর (Fifth Warmest Year) ছিল।
আরও পড়ুন: Delhi IIT Student Accident: ফের রাজধানীতে পথ দুর্ঘটনা, এবার গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল আইআইটি ছাত্রের
এল নিনো কী
এল নিনো নামের আক্ষরিক অর্থ (Literature ) হল ছোট ছেলে (Little Boy) এবং স্প্যানিশ ভাষায় (Spanish language) বলা হয়, খ্রিস্টের সন্তান (Christ Child)। ১৬০০ সালে প্রশান্ত মহাসাগরে (Pacific Ocean) প্রকৃতির এই বিষ্ময়কর ঘটনা প্রথম লক্ষ্য করেছিলেন দক্ষিণ আমেরিকান এক মৎস্যজীবী (Fisherman)। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে প্রতি তিন থেকে সাত বছর অন্তর জলবায়ুগত এই পরিবর্তনের (Climate Change) প্রত্যাবর্তন ঘটে। বায়ু (Wind), সমুদ্র স্রোত (Ocean Current), মহাসাগরীয় ও বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা (Oceanic and Atmospheric Temperature) এবং জীবমণ্ডলের (Biosphere) মধ্যে ভারসাম্যে বিচ্যুতি ঘটলে এল নিলো হয়।
এল নিনো হলে কী হয়?
এল নিনোতে গরম বায়ু সমুদ্রপৃষ্ঠের জলকে উপর থেকে চাপ দিয়ে দুর্বল করে তোলে, এর ফলে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগর (Tropical Pacific Ocean) ঠান্ডা জলের পরিবর্তে গরম জলে ভরে ওঠে। অর্থাৎ সমুদ্রের জলরাশি অত্যধিক গরম হয়ে যায় এবং উষ্ণ স্রোতের প্রভাবে মাছের ঝাঁক তুলনায় ঠান্ডা জল যেখানে আছে, সেই পথ ধরে।
আরও পড়ুন: Sabyasachi Chakraborty Arjun: বাবার অবসর নিয়ে কি বললেন অর্জুন!
এল নিনোর প্রভাব?
এল নিনোর কারণে সমুদ্রের জলরাশি উষ্ণ হয়ে উঠলে, মৎস্যচাষ ও সামুদ্রিক মৎস্য নির্ভর জীবিকার উপর প্রভাব পড়ে। এছাড়া, স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়। পাশাপাশি, এল নিনোর কারণে অস্ট্রেলিয়া (Australia), ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) এবং দক্ষিণ এশিয়ার (Southern Asia) কিছু অংশে তীব্র খরা (Severe Droughts) দেখা দেয়। এল নিনোর প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরে সাইক্লোন ও টাইফুনের (Cyclones and Typhoons) সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।