আউশগ্রাম: আশপাশের স্কুলের মিড ডে মিলে (Mid-day Meal) যেখানে পড়ুয়াদের জন্য চিকেন ছিল মেনুতে, সেখানে গতকাল, মঙ্গলবার ছুটি দেওয়া হয় আউশগ্রামের (Aushgram) একটি স্কুলে। তাই নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে বেলাড়ি হাইস্কুলে (Belari High School)। শুধু দুপুরের খাবারের পাতে মাংস না পেয়ে নয়, স্কুলের মিড ডে মিলের ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের (Corruption) অভিযোগও উঠেছে প্রধান শিক্ষক (Head Master) আশিস কোনার ও স্কুল কমিটির বিরুদ্ধে। তা নিয়ে পোস্টার পড়েছে স্কুলের প্রাচীরে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মেজাজ হারালেন প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও অভিভাবকদের ভূরিভূরি অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিলের জন্য সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হল কেন, আউশগ্রামের বেলাড়ি হাইস্কুলের দেওয়ালে পোস্টার পড়েছে। এই পোস্টার পড়ার ঘটনা ঘিরে বুধবার এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পোস্টারে লেখা হয়েছে, বেলাড়ি হাইস্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিলের খাবার না দিয়ে মাসে মাসে ৫০০০ টাকা চুরি করা হয় কেন প্রধান শিক্ষক জবাব দাও। কেন্দ্রীয় টিম আসছে। মিড ডে মিলের চুরি ধরা পড়বে। স্কুলের কমিটি ও প্রধান শিক্ষক জেল খাটবে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: মেঘালয়ে বিজেপি-বিরোধিতায় স্বমেজাজে মমতা, দিলেন উন্নয়নের ডাক
আরও কয়েকটি পোস্টারে লেখা রয়েছে, বেলাড়ি হাইস্কুল পরিস্কার করার জন্য ৫০ হাজার টাকা এসেছিল। কিন্তু স্কুল পরিস্কার না করে সমস্ত টাকা তুলে নিয়েছে কমিটি ও হেড মাস্টারমশাই। চুরি করা হল কেন, প্রধান শিক্ষক জবাব দাও। জানা যায়, পরে পুলিশ এসে ওইসব পোস্টার ছিঁড়ে দিয়ে চলে যায়। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আশিস কোনারের কাছে এনিয়ে জানতে চাইলে তিনি খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষকে কলুষিত করার জন্য এসব ঘটানো হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করুক। অথচ পড়ুয়াদের অভিযোগ, ঠিকমতো মিড ডে মিল পায় না তারা। মঙ্গলবার সারা রাজ্যে যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের মাংস খাওয়ানো হয়েছিল, সেখানে স্কুল বন্ধ রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে ঠিকমতো ক্লাস নেন না শিক্ষকরা। এ ব্যাপারে তাঁর কাছে বলতে গেলে হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক। এর আগেও বহুবার এই স্কুলের ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ উঠেছিল, তা সত্ত্বেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।