নয়াদিল্লি: যথেচ্ছ পরিমাণে মাটির নীচ থেকে জল তোলায় অভিযুক্ত দেশের ১৩টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম (Cricket Stadium)। অভিযুক্তদের জবাব দেওয়ার জন্য শেষ সুযোগ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। বৃষ্টির জল সংরক্ষণ এবং নিকাশি জল পরিশোধন ব্যবস্থা চালু না করে ভূগর্ভস্থ জল তোলায় অভিযুক্ত হয়েছিল ২২টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। তার মধ্যে ন’টি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ আদালতের নোটিসে জবাব দিয়েছে।
ক্রিকেট মাঠের সবুজ রক্ষা করতে নিয়মিত জলসেচনের প্রয়োজন হয়। অন্যান্য প্রয়োজনেও নিয়মিতভাবে মাটির তলা থেকে জল তুলে নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের এপ্রিলে এই আদালত স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষগুলির কাছে নির্দিষ্ট জবাব চেয়েছিল। একই সঙ্গে জলশক্তি মন্ত্রককে বিশেষ বৈঠকের ব্যবস্থা করতে বলেছিল। যে বৈঠকে যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রকের যুগ্মসচিব পর্যায়ের প্রতিনিধি, বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (BCCI) প্রতিনিধি এবং কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ঘরের মাঠে ত্রিমুকুট জয়ের লক্ষ্যে মোহনবাগান
কিন্তু এই নির্দেশগুলি আদৌ পালিত হয়নি। বরং নো অবজেকশন সার্টিফিকেট ছাড়াই ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলি যথারীতি ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করে চলেছে। স্টেডিয়ামগুলি বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কোনও উদ্যোগই দেয়নি। এমনকী নিকাশি জল পরিশোধন ব্যবস্থাও চালু করেনি কেউ বলে আদালতে অভিযোগ অভিযোগকারীর।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে ট্রাইবুনাল স্টেডিয়ামগুলিকে রিপোর্ট পেশ করার জন্য নোটিস দেয়। সেই সূত্রে ন’টি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের জবাব পেশ হয়েছে। মাটির নীচের জল ব্যবহার করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে চাওয়া নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের আবেদন নয় মাস বিবেচনাধীন হয়ে পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে একটি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।
দেখুন অন্য খবর: