নয়াদিল্লি: আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের (Hindenburg Research) রিপোর্ট ঘিরে শোরগোল পড়েছে ভারতীয় অর্থনীতিতে (Indian Economy)। যার জেরে একের পর এক শেয়ার খুইয়েছে আদানি গোষ্ঠী। যা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। বিশেষ করে জীবন বিমা নিগমের আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে লগ্নি করা, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের ওই শেয়ারে লগ্নি করা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেই টাকা কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। সেই সময় সংসদে এটি নিয়ে আলোচনার দাবি তুলল কংগ্রেস। ওই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার জন্য নোটিস (Notice) দিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge)।
এই বিষয়ে তিনি রাজ্যসভায় বৃহস্পতিবার নোটিশ দিয়েছেন। তাতে এলআইসির (LIC) বিনিয়োগ, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক (Public Sector Bank) ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির (Financial Institute) কথা উঠে এসেছে। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা (Discuss) হোক বলে তিনি সেখানে দাবি করেছেন। এমনটাই কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Siddique Kappan: ২৭ মাস পর জেল থেকে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পান
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসার পর গৌতম আদানি (Gautam Adani) বিশ্বের ধনী তালিকায় নীচে নেমে গিয়েছেন। ঘটনার জেরে কোটি-কোটি টাকার শেয়ার খুইয়েছে আদানি গোষ্ঠী (Adani Group)। শেয়ার বাজারে (Share Market) তার পতন অব্যাহত রয়েছে। তার মধ্যে এফপিও ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। এজন্য প্রত্যেককে টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ওই গোষ্ঠী।
এদিকে, ওই রিসার্চ (Research) রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কংগ্রেস। তারা আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে দাবি করেছে বহুবার। তাই এই বিষয়ে সরকারকেও চেপে ধরতে চাইছে তারা। এই বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা। তাদের বক্তব্য, আরবিআই (RBI) এবং সেবিকে (SEBI) দিয়ে তদন্ত করানো হোক। মার্কিন সংস্থার ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, কারচুপি করে কৃত্রিমভাবে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার বাড়ানো হয়েছে। তবে এর জবাবে আদানি গোষ্ঠী আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে জানায়। তারা কয়েক পাতার একটি জবাবি বিবৃতিও দিয়েছে।