নয়াদিল্লি: আদানি-বিতর্ককে (Adani Row) কেন্দ্র করে বৃহ্স্পতিবার উত্তাল হয়ে উঠল সংসদের (Parliament) দুই কক্ষ। বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে এদিন অধিবেশনের শুরুতেই চেপে ধরে শাসকদলকে। প্রবল হই-হট্টগোলের জন্য লোকসভা (Lok Sabha) ও রাজ্যসভার (Rajya Sabha) অধিবেশন দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি ঘোষণা করা হয়। তারপর ফের অধিবেশন শুরু হলে বিরোধীদের বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দুই কক্ষ। শেষে এদিনের মতো সংসদ মুলতুবি রাখা হয়। আদানি ইস্যুতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুই কক্ষে হইচই শুরু করে বিরোধী দলগুলি। দুপুরের পর অধিবেশন বসলে সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী বিরোধীদের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানালেও তাতে কোনও কাজ হয়নি। একইভাবে রাজ্যসভাতেও প্রবল হইচইয়ের জন্য দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায় উচ্চকক্ষ।
আরও পড়ুন: Gautam Adani: আদানি গোষ্ঠীর ক্ষতি ১০০ বিলিয়ন পার করল
এদিন সকালে কংগ্রেস (Congress) সাংসদ মানিকরাম ঠাকুর এবং মনীশ তেওয়ারি লোকসভায় আদানি গ্রুপ ইস্যু এবং চীনা (China) আগ্রাসন নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনেন। আদানি গ্রুপের শেয়ার নিয়ে আর্থিক জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এদিন সকালেই বিরোধী দলের নেতারা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) দফতরে এক বৈঠকে মিলিত হন। রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাজেট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বিরোধীদের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন:
ওই বৈঠকে ডিএমকে, তৃণমূল (TMC), সপা, জেডিইউ, শিবসেনা, সিপিএম, সিপিআই, এনসিপি, মুসলিম লিগ, আপ, এনসি এবং কেরল কংগ্রেস হাজির ছিল। বিরোধী দলগুলি যৌথভাবে আদানি ইস্যুতে হিন্ডেরবার্গের রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার দাবি জানাবে। কেসিআরের বিআরএসও আদানি ইস্যুতে নিয়ে দুই কক্ষে প্রস্তাব এনেছে।
পরে বিরোধীদের হয়ে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, দেশজুড়ে নানা ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি চলছে, তার আলোচনা চাই আমরা। আমরা দুই সভাতেই মুলতুবি প্রস্তাব এনেছি। জীবনবিমা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক কোম্পানিগুলির বাজারমূল্য কমছে। যার ফলে কোটি কোটি গরিব মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমরা চাই, এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে যৌথ সংসদীয় কমিটি অথবা সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক।
আম আদমি পার্টির তরফে বলা হয়েছে, আমরা জানতে চাই গৌতম আদানি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) নীরব কেন? তিনি তো মোদির ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সাধারণ মানুষ জীবনবিমায় লগ্নি করেছে, সেই টাকা আদানির ঘরে গিয়েছে। আমরাও চাই সুপ্রিম কোর্টের নজরে তদন্ত হোক।