লিভারপুল: লিভারপুল ক্লাবের (LFC) স্টেডিয়ামের নাম অ্যানফিল্ড (Anfield)। অ্যানফিল্ড সেই মাঠ যেখানে প্রথম পর্বে ৩-০ এগিয়ে থাকা লিওনেল মেসির (Lionel Messi) বার্সেলোনা (Barcelona) চার গোল খায়। অ্যানফিল্ড সেই মাঠ যেখানে লিভারপুল সমর্থকরা সারাক্ষণ চিৎকার করে, গান গেয়ে, গালাগাল দিয়ে প্রতিপক্ষকে নার্ভাস করে দেয়। সোজা কথায় অ্যানফিল্ড হল দুর্ভেদ্য দুর্গ। সেই দুর্গকেই মঙ্গলবার রাতে ধূলিসাৎ করে দিল রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid)। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে কেন তারা সফলতম দল তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন লিভারপুলের প্লেয়ার, কোচ, সমর্থক সবাই। ১৪ মিনিটে দু’ গোল খেয়ে পাঁচ গোল দিতে পারে কেবল রিয়ালই।
প্রথমে কিছু তথ্য বলে দেওয়া যাক। ম্যাচের চার এবং ১৪ মিনিটে লিভারপুলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে ডারউইন নুনেজ (Darwin Nunez) এবং মহম্মদ সালাহ (Mohammad Salah)। রিয়ালের হয়ে জোড়া গোল করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র এবং করিম বেঞ্জেমা (Karim Benzema)। আর একটি গোল এদের মিলিতাওয়ের। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে গেলে দ্বিতীয় লেগে অন্তত চার গোলের ব্যবধানে জিততে হবে জুর্গেন ক্লপের দলকে। রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাবিউয়ে (Santiago Bernabeu) সেই লক্ষ্যপূরণ অক্সিজেন সিলিন্ডার ছাড়া এভারেস্টে চড়ার সমান।
আরও পড়ুন: Sania Mirza: বিদায় বেলায় আশা পূরণ না হলেও, সানিয়া দেশবাসীর কাছে আইকন
২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে গোলকিপার লরিস ক্যারিয়াসের দুটো বিশ্রী ভুলে রিয়ালের কাছে হেরে গিয়েছিল লিভারপুল। ওই ম্যাচের পর কেরিয়ারটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল ক্যারিয়াসের। লিভারপুলের বর্তমান গোলকিপার অ্যালিসনও (Allison) এদিন একটি ক্ষমাহীন ভুল করলেন। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে মারলেন ভিনিসিয়াসের পায়ে, সে বল ঢুকে গেল গোলে। সে সময় ২-১ এগিয়ে ছিল ইংলিশ ক্লাবটি। ভাগ্যের জোরে সমতা ফেরানো রিয়াল কি আর সুযোগ ছাড়ে?
লিভারপুলের মাঝমাঠ এবং রক্ষণ অত্যন্ত দুর্বল। এদিকে একের পর এক স্ট্রাইকার, ফরোয়ার্ড কিনে চলেছেন ক্লপ। মাঝমাঠে ফাবিনহো শ্লথ হয়ে গিয়েছেন। থিয়াগোরও অনেক বয়স হয়েছে। পৃথিবীর অন্যতম সেরা সেন্টার ব্যাক হিসেবে বিবেচিত ভার্জিল ভ্যান ডাইক (Virgil Van Dyke) ইদানীং ডিফেন্স করতেই ভুলে গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গী জো গোমেজ ততোধিক খারাপ। এই দল নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে মোকাবিলা করলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। দ্বিতীয় লেগে সম্মানটুকু নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারলেই স্বস্তি পাবেন লিভারপুলের সমর্থকরা।
 স্টেডিয়ামের নাম অ্যানফিল্ড (Anfield)। অ্যানফিল্ড সেই মাঠ যেখানে প্রথম পর্বে ৩-০ এগিয়ে থাকা লিওনেল মেসির (Lionel Messi) বার্সেলোনা (Barcelona) চার গোল খায়। অ্যানফিল্ড সেই মাঠ যেখানে লিভারপুল সমর্থকরা সারাক্ষণ চিৎকার করে, গান গেয়ে, গালাগাল দিয়ে প্রতিপক্ষকে নার্ভাস করে দেয়। সোজা কথায় অ্যানফিল্ড হল দুর্ভেদ্য দুর্গ।){kind=link}