বনগাঁ: বাগদার (Bagda) রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল (Ranajan Mondal) প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বাগদার তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য। শুধু তিনি নন, গ্রামের এক পরিবারের থেকে পাঁচজনের চাকরির জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছেন চন্দন বলে দাবি স্থানীয় এক বাসিন্দার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদার রঞ্জন ওরফে অর্থাৎ চন্দন মণ্ডল সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হতেই ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ল।
বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের মামাভাগ্নে গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য অনুপ ঘোষ দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যত ভিড় না থাকত, চন্দনের বাড়িতে তার থেকে বেশি ভিড় থাকত। এলাকার ১০০ জনকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন চন্দন। ক্লাস এইট পাশ ছেলেমেয়েরা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি দেওয়া হতো বলে দাবি করেছেন তিনি। একাধিক প্রভাবশালী লোকের চন্দনের বাড়িতে যাতায়াত ছিল বলে দাবি তাঁর। ১৬ কোটি টাকা লেনদেনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন ১৬ কোটি বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে এখান থেকে।
আরও পড়ুন: Dilip Ghsoh: টাকা তোলা তৃণমূল নেতাদের বাড়ি আক্রমণের হুমকি দিলীপের
তাঁর দাবি, বিডিও, ওসিদের যাতায়াত ছিল চন্দনের বাড়িতে। মামাভাগ্নে গ্রামকে ডুবিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছেন। উপেন বিশ্বাস তাঁকে ফাঁসিয়েছেন, এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উপেন বিশ্বাস এক নম্বর লোক। বাঁচার তাগিদে সবাই মিথ্যা কথা বলে। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই ২০-২৫ জনের চাকরি গিয়েছে। অনুপ ঘোষ আরও বলেন, চন্দন আগে সিপিএম করত। আমরা ক্ষমতায় আসার পর এই সমস্ত দালালদের জায়গা দিয়েছে তৃণমূল।
অন্যদিকে মামাভাগ্নে গ্রামের বাসিন্দা অরবিন্দ বিশ্বাস দাবি করেন, তাঁর পরিবারের পাঁচজনের চাকরি দেওয়ার জন্য জমি বিক্রি করে চন্দনকে ৪৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। নিজের মেয়ের জন্য ৫ লক্ষ সহ পরিবারের পাঁচজনের জন্য এই টাকা দিয়েছিলেন তিনি। একাধিকবার টাকা ফেরত চাওয়া হলেও টাকা ফেরত দেননি।