আসানসোল: ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রীর (Engineering College Student) ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে উত্তাল আসানসোলের নিউটাউন এলাকা। মৃত আদিবাসী ছাত্রীর নাম কোয়েল হাঁসদা (Koyel Hansda) বয়স ২২ বছর। মঙ্গলবার রাত্রে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এমনকী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে আসানসোলের হিরাপুর থানার সামনে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন ঘেরাও করে রাস্তার ওপর বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
ঘটনা প্রসঙ্গে কোয়েলের বাবা বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় আমি শুয়ে ছিলাম। আমার স্ত্রীও শৌচালয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় কোয়েল কাউকে কিছু না বলেই বেরিয়ে যায়। ওকে প্রথমে দেখতে না পেয়ে তিনি ভেবেছিলেন হয়তো বাজারে বা সামনে কোথাও গেছে। কিন্তু রাত অবধি বাড়ি না ফেরায় খানিকটা চিন্তায় পড়েছিলাম। এরপর বার বার কোয়েলকে ফোন করেও ফোন পাননি বলেই জানান তাঁর বাবা। তারপর রাতে তাঁরা স্থানীয় এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেন বলেও জানা গিয়েছে। তারপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন লক্ষী নারায়ণ। এদিকে, মঙ্গলবারই আসানসোলের নিউটাউনের ১২ নম্বর রোডের পাশে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারপর পুলিশ সূত্রে লক্ষী নারায়ণকে মৃত দেহ উদ্ধারের কথা জানানো হয়। আসানসোল জেলা হাসপাতালে এসে মেয়ের মৃতদেহ পায় বলেই জানান, কোয়েলের বাবা।
আরও পড়ুন: Karnataka Assembly Elections 2023 । আজই কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা, নির্বাচন কমিশন
কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খুঁজে পাচ্ছেন না লক্ষ্মীনারায়ণ বাবু। তাঁর দাবি আমাদের কোনও শত্রু ছিল না। এরপর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আসানসোলের হিরাপুর থানার সামনে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন ঘেরাও করে রাস্তার ওপর বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং পুলিশ কমিশনার এসে আমাদের কথা দিতে হবে যে ২৪ ঘন্টার ভেতর দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। যতক্ষন আমাদের এই দাবি না মানে তবে আমাদের বিক্ষোভ জারি থাকবে বলে জানান আদিবাসী নেতা হীরালাল সোরেন।
টানা তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পর উঠে যায় সেই বিক্ষোভ। কারণ, ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সুমির মাড্ডি (২৪), রহিত হাঁসদা (২২) ও সুমিত্তা হেমব্রম (২৫) নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করে হীরাপুর থানার পুলিশ। এদিন দুপুরে সেই তিন জনকেই আদালতে পেশ করা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িয়ে আছে কি না, এবং ঘটনার সম্পর্কে বিশদ জানতে তাঁদের তিন জনকে ১০ দিনের জন্য পুলিশী হেফাজতে নেবার জন্য আদালতে আবেদন করে হীরাপুর থানার পুলিশ। এখন দেখার আদালত কত দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়