পাটনা: ২৯ বছর পুলিশ হেফাজতে থাকার পর আদালতের নির্দেশে ছাড়া পেল ভগবান হনুমানের মূর্তি (Lord Hanuman)। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ভোজপুর জেলা (Bihar’s Bhojpur district)এলাকায়। পুলিশের স্ট্রংরুমে তা রাখা ছিল। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর বিহার আদালত মুক্তিতে ছাড়পত্র দিল। সালটা ছিল ১৯৯৪। ওই বছরের ২৯ মে বরহরা ব্লকের গুন্ডি গ্রামের ভগবান শ্রীরঙ্গনাথ মন্দির( Lord Sriranganath Temple) থেকে চুরি গিয়েছিল অষ্টধাতুর (Ashtadhatu) দুটি মূর্তি। একটি হল, রাম ভক্ত হনুমানের। অন্যটি হল সেইন্ট বারবার স্বামীর। মুক্তির পর ওই এলাকায় এখন উৎসবের আমেজ। দলে দলে ভক্তরা পুজোর জন্য মন্দিরে জড়ো হয়েছেন। উচ্ছাস প্রকাশ করছেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই দাবি করে আসছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। অবশেষে যেন শাপমুক্তি হয়েছে।
চুরি যাওয়ার পর পুরোহিত জানেশ্বর দ্বিবেদী (Janeshwar Dwivedi) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অজ্ঞাত পরিচয় চোরেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পুলিশ তদন্তের পর মূর্তিগুলো উদ্ধার করে। তখন থেকে থানার স্ট্রংরুমে সেগুলি রাখা ছিল। বিহার স্টেট রিলিজিয়াস ট্রাস্ট বোর্ড (Bihar State Religious Trust Board) ঘটনায় পাটনা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। ট্রাস্টের কাছে মূর্তিগুলি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মামলা করা হয়। আদালতে আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে মূর্তিগুলি ছেড়ে দেওয়া হল।বিচারপতি অর্ডার দেওয়ার পর ভক্তরা মিছিল করে থানার বাইরে জড়ো হন। সেখান থেকে মূর্তি নিয়ে যান। শুধু সেখানে নয় গোটা এলাকায় যেন উৎসবের পরিবেশ দেখা যায় তাকে ঘিরে।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: রাজ্যের বকেয়া না দিলে দিল্লি অচল করার হঁশিয়ারি অভিষেকের
বিএসআরটিবির প্রাক্তন চেয়ারম্যান আচার্য কিশোর কউল ও অজিত কুমার দুবে মূর্তির ছাড়া পাওয়ার জন্য আইনি লড়াই করেন। তাঁদের দীর্ঘ লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পূর্ব গুন্ডি পঞ্চায়েতের প্রধান কৃষ্ণকুমার সিং বলেন, এদিন খুশির দিন। এমনিতেই রামনবমী উৎসব চলছে। গোটা এলাকায় খুশির তরঙ্গ বইছে।স্থানীয় ব্রজেশ সিং বলেন, এটা খুব আনন্দের বিষয়। মালখানা থেকে মূর্তিগুলি বের করা গিয়েছে। মন্দিরে তা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা গিয়েছে। আমরা সবাই এতে খুশি। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এটা কারও একার আইনি লড়াই ছিল না। ভক্তরা সবাই এর সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। ফলে অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি। খুশি মেতেছে সবাই।