skip to content
Friday, July 5, 2024

skip to content
HomeকলকাতাCalcutta High Court |  কাগজ রাখার সিদ্ধান্ত একান্তভাবেই লাইব্রেরির নিজস্ব, জানাল আদালত 

Calcutta High Court |  কাগজ রাখার সিদ্ধান্ত একান্তভাবেই লাইব্রেরির নিজস্ব, জানাল আদালত 

Follow Us :

কলকাতা: কোন লাইব্রেরি (Library) কোন সংবাদপত্র (News Paper) রাখবে, সেই সিদ্ধান্ত একান্তই তাদের নিজস্ব। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) এই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়ে বলেছে,স্থানীয় মানুষের চাহিদার কথা ভেবে সংশ্লিষ্ট লাইব্রেরি সংবাদপত্র রাখার সিদ্ধান্ত নেবে। সোমবার (Monday) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিভঘ্ননম এবং বিচারপতি হিরণময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের ফলে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। 

২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল ঘটে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরের বছর ১৪ মার্চ রাজ্য সরকার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, লাইব্রেরিগুলি আট’টি সংবাদপত্র রাখতে পারবে। কোন কোন সংবাদপত্র রাখতে হবে, সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়। সরকারি এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অভিযোগ ওঠে, মূলত সরকারপন্থী কাগজগুলোই এই সিদ্ধান্তের ফলে লাইব্রেরিতে শোভা পাবে। 

আরও পড়ুন: Calcutta High court | প্রাক্তন পুলিশ অফিসারদের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব আদালতের 

সরকারি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় উল্লেখ করে এক মামলাকারী জানান, লাইব্রেরিতে রাখার জন্য সংবাদপত্র কেনা হয় জনগণের টাকায়। সে ক্ষেত্রে কোনও বাছবিচার করা যুক্তিযুক্ত নয়। তাতেও অবশ্য রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। 

সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর এবং ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার লাইব্রেরিতে ১৪টি কাগজ রাখার কথা বলেন। তার মধ্যে উর্দু এমনকী নেপালি ভাষার কাগজও রয়েছে। এজি আরও জানান, সরকারি টাকা খরচ করে লাইব্রেরিতে কোনও রাজনৈতিক দলের মুখপত্র রাখা যায় না। সেই কারণেই সরকার ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। 

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, এলাকা মানুষের চাহিদা অনিযায়ী লাইব্রেরিতে সংবাদপত্র রাখা উচিত। এ ক্ষেত্রে সরকার নিজের খুশিমতো কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। 

২০১২ সালে সরকারি ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সিপিএমের দৈনিক মুখপত্র গণশক্তি। তাদের অভিযোগ ছিল, একে তো রাজ্য সরকার ওই কাগজ লাইব্রেরিতে ঢুকতে দেয় না। তার উপর রাজ্য সরকার ওই মুখপত্রে কোনও সরকারি বিজ্ঞাপনও দেয় না। 

সিপিএমের মুখপত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের রেজিস্ট্রার অফ নিউজপেপার ফর ইন্ডিয়া বা আরএনআই তাদের দৈনিক পত্রিকা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এমনকী তারা কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের বিজ্ঞাপন পাওয়ারও অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টও এ সংক্রান্ত মামলার রায়ে জানিয়েছে, ওই মুখপত্রকেও সরকারি বিজ্ঞাপন দিতে হবে। পালাবদলের পর থেকেই সিপিএমের মুখপত্র রাজ্য সরকারের কোনও বিজ্ঞাপনই পাচ্ছে না।  

RELATED ARTICLES

Most Popular