সুরাট: ফের ঝুলে রইল রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) মোদি পদবী সংক্রান্ত মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার সুরাতের জেলা দায়রা আদালতের বিচারক রবীন মগেরা সওয়াল শেষে রায়দান স্থগিত রাখেন। রায় হবে ২০ এপ্রিল। রাহুলকে দুবছরের জন্য কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে কি না, তা জানতে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
মোদি পদবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সুরাতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (Surat Sessions Court) কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দু’বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয়। বিচারক বলেছেন, যে রাহুল গান্ধী তার বক্তব্যের মাধ্যমে তার মোদী উপাধিধারী সকল ব্যক্তিকে অপমান করেছেন। সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুরাতের জেলা দায়রা আদালতে আবেদন করেছিলেন রাহুল। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতার মামলার শুনানি হলেও রায় স্থগিত রাখে আদালত।
আরও পড়ুন:C V Ananda Bose | এবার প্রেসিডেন্সিতে রাজ্যপাল, বিক্ষোভ এসএফআইয়ের
এদিন আদালতে শুনানির সময় রাহুল গান্ধীর আইনজীবী যুক্তি দেন, মানহানি আইন অনুসারে, কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে অপ্রীতিকর মন্তব্যের জেরে মানহানি হলে, সেই ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান ফৌজদারি বা মানহানির মামলা (Defamation Case) দায়ের করতে পারে। কিন্তু এই মামলায় দেখা গেছে মোদি পদবীধারীদের মানহানি হয়েছে বলে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যিনি মামলা করেছেন তাঁকে কিন্তু কিছুই বলা হয়নি। এক্ষেত্রে কোনও মোদির পদবীধারীরা নিজেদের কোনও গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করতে পারে না। আদালতে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। আইনজীবী আর এস চিমা আরও বলেন, পূর্ণেশ মোদি নামে যে ব্যক্তি মামলা করেছেন, তাঁর মামলার করার কোনও অধিকার নেই। তাছাড়া রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছেন কর্নাটকে (Karnataka)। মামলা করলেন গুজরাতের পূর্ণেশ। এটাই বা কী করে সম্ভব। পূর্ণেশ মোদির (Purnesh Modi) কাছে অভিযোগ দায়ের করার অভিযোগ আছে কি না, তা আদালতকে খতিয়ে দেখতে হবে। সেই সঙ্গে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যটি সকল মোদী পদবীধারীর ব্যক্তির মানহানি করার উদ্দেশ্যে ছিল কি না, সেটাও আদালতকে বিশ্লেষণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে কর্নাটকে ভোটের প্রচারে গিয়ে কোলারের জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, নীরব মোদি, ললিত মোদি, নরেন্দ্র মোদি। সব চোরের পদবী মোদি হয় কী করে? এই মন্তব্যের পরই রাহুল গান্ধী সকল মোদি পদবীধারীদের মানহানি করেছেন বলে অভিযোগ করেন পূর্ণেশ মোদী। সুরাতের আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন। ২৩ মার্চ সুরাটের এক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই ফৌজদারি মানহানি মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপরই রাহুলের সাংসদ পদও খারিজ করা হয়।