কলকাতা: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের (Calcutta University) পর এবার প্রেসিডেন্সিতে (Presidency University) সারপ্রাইজ ভিজিট রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (C V Ananda Bose)। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছন। এদিনও রাজ্যপালকে ঘিরে প্রেসিডেন্সিতে ছাত্র বিক্ষোভ হয়। এসএফআইয়ের (SFI) নেতৃত্বে ওই বিক্ষোভ চলে।
তীব্র গরমের মধ্যেও এদিন বোসের পরনে ছিল চিরাচরিত গলা বন্ধ কোর্ট, চোখে সানগ্লাস। বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে প্রথমেই রাজ্যপাল যান বেকার বিল্ডিংয়ে। সেখানে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, আলোচনায় অনুপ্রেরণাদায়ী ভাষণ দিয়েছেন রাজ্যপাল। একই সঙ্গে জানতে চেয়েছেন বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয়ও। পরে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন আচার্য।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | গ্রামীণ এলাকায় ১৩৩টি কমিউনিটি সেন্টার হচ্ছে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, সোমবার দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরে রাজভবনে না ঢুকে সোজা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। পরে রাজভবনে ফিরে দুপুর ৩টে নাগাদ আবার সেখানে যান তিনি। একই দিনে দু’বার পরিদর্শনে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহ অনেককেই চমকে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। বিশেষ করে দিন কয়েক আগেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পাঠানো তাঁর আর্থিক লেনদেন বিষয়ক নির্দেশিকার সঙ্গে এই পরিদর্শনের ঘটনাটিকে জুড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, তবে কি রাজ্যপাল বোঝাতে চাইছেন, বাকিদের মতো তিনি স্রেফ রাজভবনে বসে থেকে নিজের দায়িত্ব পালন করবেন না? এই জল্পনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার কাঠফাটা রোদে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস।
শাসকদল অবশ্য রাজ্যপালের এই বিশ্ববিদ্যালয় সফরকে গিমিক হিসেবেই দেখছে। তবে সরকারি ভাবে শাসক দলের কোনও নেতা বা মন্ত্রী প্রকাশ্যে রাজ্যপালের বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। যদিও ঘনিষ্ঠ মহলের একাধিক মন্ত্রী এদিন বলেন, রাজ্যপাল এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন। এই অতিসক্রিয়তা রাজ্যপাল পদের সঙ্গে খাপ খায় না।
এর আগেই রাজ্যপাল এক নির্দেশিকা জারি করে উপাচার্যদের রাজভবনের সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাতে বলেছেন। পাশাপাশি বড় ধরনের আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে উপাচার্দের রাজ্যপালের অনুমতি নেওয়ার কথাও বলা হয় ওই নির্দেশিকায়। প্রকাশ্যেই ওই নির্দেশিকার প্রতিবাদ করেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ওই নির্দেশিকার আইনি বৈ্ধতা নিয়ে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। আমরা ওই চিঠি প্রত্যাহার করার জন্য রাজ্যপালকে অনুরোধ করছি।