কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Avishek Banerjee) রাজ্যে সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলল কংগ্রেস (Congress)। মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Choudhury) বলেন, রাজ্যে এখন দু’টো প্রশাসন চলছে। আমি অভিষেকের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাই। জানতে চাই, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্ব চলছে না খোকাবাবুর নেতৃত্ব চলছে? বাংলার প্রকৃত মুখ্যমন্ত্রী কে তা অবশ্যই রাজ্যবাসীর জানার অধিকার রয়ছে।
সম্প্রতি জনসংযোগ যাত্রায় নেমে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নানারকম সরকারি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। পঞ্চায়েত ভোট কখন হবে, কেমন হবে, তা নিয়েও অভিষেক নানা কথা বলছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এই ব্যাপারেই এদিন বলেন, সরকারের হয়ে এই সব প্রতিশ্রুতি অভিষেক কেমন করে দিচ্ছেন? পঞ্চায়েত ভোট কবে হবে, কেমনভাবে হবে, তা মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন না খোকাবাবু ঠিক করবেন? মুখ্যমন্ত্রী কি খোকাবাবুকে অথরাইজ করেছেন? অধীরের অভিযোগ, এই জনসংযোগ যাত্রায় সরকারি কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Justice Abhijit Ganguly | বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে দুই মামলা সরল
এদিন বিধানভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তৃণমূলকে চড়া সুরে তোপ দাগেন। রাজ্য রাজনীতি তো বটেই, জাতীয় রাজনীতির ইস্যুতেও অধীর তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার ব্যাপারে রাজ্যে রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সম্প্রতি নীতীশ এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব কলকাতায় এসেছিলেন জোট নিয়ে কথা বলতে। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন। সেদিনই নীতীশ-তেজস্বী লখনউতে গিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক সারতে।
নীতীশের এই বিজেপি বিরোধী জোট-তৎপরতার মধ্যেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর মঙ্গলবার ফের তৃণমূলকে বিজেপির বন্ধু বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, আঞ্চলিক দল তৃণমূল নানা ভাবে বিজেপিকে সাহায্য করে চলেছে। তাঁর প্রশ্ন, রাজ্যে কার প্রশ্রয়ে আরএসএসের শাখা অফিসের এত বাড়বাড়ন্ত? অধীরের অভিযোগ, গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরায় বিজেপির হাত শক্ত করেছে তৃণমূল। ওই সব রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। কংগ্রেস নেতা বলেন, বিজেপিকে হারাতে পারে কংগ্রেসই। হিমাচল প্রদেশ তা প্রমাণ করে দিয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বিরোধীদের আন্দোলনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। এখানে মমতার রাজ্যেও একইভাবে বিরোধীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।