কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোচা (Mocha)। ইতিমধ্যেই আন্দামান নিকোবরের (Andaman Nicobor) বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে লাল সতর্কতা (Red Alart) জারি করা হয়েছে। আগামী 9 মে মোচা তার শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে (Low Pressure) পরিণত হবে। এর জেরে আন্দামান নিকোবর এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নয় তারিখ থেকে মোচা তার গতি অভিমুখ উত্তর দিক বরাবর বিস্তৃত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে ওড়িশা উপকূল ও দক্ষিণবঙ্গের উপকূল অঞ্চলে (Coastal Area) ল্যান্ড ফল (Land Fall) হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। মোচা যদি শক্তি বাড়িয়ে দক্ষিণ বঙ্গে আছড়ে পড়ে তাহলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রামের পাশাপাশি শহর কলকাতাতেও ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
মোচার শক্তি বৃদ্ধি পাওয়া এবং শহর কলকাতার ওপর তার প্রভাবের কথা মাথায় রেখে সমস্ত রকম ভাবে প্রস্তুত কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে কলকাতা পুরসভার পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের নেতৃত্বে ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খুলে রাখা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার এই অত্যাধুনিক কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে আবহাওয়ার বিষয়গুলি মনিটরিং করা হচ্ছে। মোচা আছড়ে পড়ার পরে অতি ভারী বৃষ্টি হলে শহরের যে যে অংশে জল জমার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেখানে বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। সেই এলাকাগুলির উপর সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। সংলগ্ন পাম্প হাউসে পাম্পিং মেশিনগুলিকে প্রস্তুত রাখা ও মনিটরিং করার কাজ চালু রয়েছে। শহর কলকাতার লো ল্যান্ড এরিয়াগুলি ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করে সেখানে জল জমলে যাতে দ্রুত ভ্রাম্যমান পাম্প সেট পাঠিয়ে জল বার করা যায় তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপকে সমস্ত রকম পরিস্থিতির মোকাবিলায় অ্যালার্ট করে রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের আধিকারিকদের এমার্জেন্সি সার্ভিস হিসাবে সতর্ক করে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Moyna Case | Tamluk Court | বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ
প্রতিটি বিভাগের মেয়র পারিষদদের মোচা মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনে কলকাতা পুরসভার সদর দফতরে বসে কাজের তদারকির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজেও বিষয়টির উপর নজরদারি চালাচ্ছেন। অন্যান্য সাইক্লোনের মোকাবিলা করার জন্য পুরসভার সদর দপ্তরে 24 ঘন্টা তদারকি করেছেন মেয়র। সেভাবেই এক্ষেত্রেও প্রয়োজনে তা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।