ময়না: বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে (Bijoy Krishna Bhunia) খুনের ঘটনায় ধৃত তিনজনের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ। সিবিআই ও এনআইএ (CBI and NIA) তদন্তের দাবিতে সরব বিজেপি। এদিকে শাসক দলের দাবি, মৃত্যু নিয়ে বিজেপি (BJP) ঘৃণ্য রাজনীতি করছে।
প্রথমে গ্রেফতার (Arrest) হয় মিলন ভৌমিক নামে গ্রাম পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল সদস্য। তমলুক জেলা আদালত তাকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছিল। শনিবার নন্দন মণ্ডল ও সুজয় মণ্ডল নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ময়না থানার পুলিশ। এরপর ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুলিশ সুব্রত মন্ডলকে গ্রেফতার করে। রবিবার তিনজনকে তমলুক জেলা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তিন অভিযুক্তকে ১৪ দিনের পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। সব মিলিয়ে এই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজনকে ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিজেপি-র বুথ সভাপতিকে অপহরণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন থেকেই উত্তপ্ত ময়না৷বিজেপির দাবি, সোমবার রাতে বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে তাঁর স্ত্রীর সামনে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। তারপর তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। গভীর রাতে বাড়ির এলাকা থেকে কিছুটা দূরে তাঁর দেহ উদ্ধার করে দলের কর্মীরা। মনে করা হচ্ছে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে।পাশাপাশি অপহরণ করা হয় সঞ্জয় তাঁতি নামে আরও এক বিজেপি কর্মীকে। ওই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: Chhattisgarh Liquor Scam | ছত্তিশগড়ে ২ হাজার কোটির আবগারি দুর্নীতির হদিশ ইডি-র
এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।এদিন শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ময়নায় বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেয়নি তৃণমূল ৷ কারচুপি করে ভোটে জিতেছে তারা ৷ ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ময়না থেকে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী অশোক দিন্দা ৷ পঞ্চায়েতে নির্বাচনে জেতার পর থেকেই তৃণমূলের অত্যাচার বেড়েছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে তৃণমূল এই ধরনের হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিরোধী দলনেতা।
বিজেপির অভিযোগ, চারজনকে ধরা হলেও এখনও মুল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি। আমরা চাই সিবিআই ও এনআইকে দিয়ে তদন্ত করা হোক। শাসকদল পাল্টা বিজেপিকে কটাক্ষ্য করেছে। তাদের বক্তব্য, মৃত্যু নিয়ে বিজেপি ঘৃণ্য রাজনীতি করছে।