তামিলনাড়ু: আর্থিকভাবে দুর্বল শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে তামিলনাড়ু সরকারকেই সমস্ত খরচ বহন করতে হবে বলে নির্দেশ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্ট বলেছে, পড়াশোনার বই ছাড়াও সমস্তরকম সামগ্রীর খরচ দিতে হবে সরকারকে। এছাড়াও শিশুদের শিক্ষার অধিকারের আইন অনুযায়ী ওই শ্রেণির শিশুদের স্কুলে ভর্তি করাও বাধ্যতামূলক।
গত ১৮ এপ্রিল মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি এম দণ্ডপানি বলেন, আইনে শুধুমাত্র একটি শিশুর টিউশন ফি সরকারকে দিতে হবে বলে সরকার তার দায় এড়াতে পারে না। সরকার আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শিশুদের শিক্ষার সমস্ত ব্যয় বহন করতে বাধ্য। এর জন্য ওই শিশুদের এক নয়াপয়সাও খরচ করতে হবে না। রায়ে আরও বলা হয়েছে, সমাজের এই অংশের শিশুদের সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের সামগ্রিক দায় রাষ্ট্রের। এর জন্য কোনও শিশুকে একটি পয়সাও দিতে হবে না।
আরও পড়ুন: State Election Commissioner | রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়ে জটিলতা
মাদ্রাজ হাইকোর্ট এম সুভিয়াথান নামে এক নাবালকের আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে। সুভিয়াথান তার বাবার মাধ্যমে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিল। মামলার আবেদনে বলা হয়েছিল, এ ব্যাপারে শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশন যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়। আবেদনকারীকে ভেলোর জেলার একটি প্রাইভেট স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল। আগামী দুটি শিক্ষাবর্ষের জন্য সুভিয়াতানের পরিবারকে ১১,৭০০ টাকা ফি দিতে হয়েছিল। এছাড়া স্কুলের পোশাক, বইপত্র এবং পড়াশোনার অন্যান্য সরঞ্জামের জন্য আরও ১১ হাজার টাকা দাবি করে স্কুল। কিন্তু গরিব ওই পরিবারের পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব ছিল না। ফলে সে শুধু স্কুলেই যেত। কিন্তু বইপত্রের অভাবে সে পড়াশোনা চালাতে পারছিল না। কিছু শিখেও উঠতে পারেনি। এমনটাই তাদের আইনজীবী আদালতে জানান। রাজ্য সরকার যুক্তি দেয় আইন অনুযায়ী সরকার শুধু টিউশন ফি দেবে। বাকি সব খরচ পরিবারকেই বহন করতে হবে।