কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যাচ্ছেন না অভিষেক। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ৮ জুলাইয়ের পর ডাকলে যাব। ১০-১২ ঘণ্টা করে অপচয় করার মতো সময় আমার নেই। ইচ্ছা করেই ব্যতিব্যস্ত করার চক্রান্ত। মানুষ জবাব দেবে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাইছি। আমার স্ত্রী সন্তানদেরও হেনস্থা করা হচ্ছে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব ইডির (ED)। আগামী মঙ্গলবারই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। সূত্রের খবর, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। এদিনই কয়লা পাচার কাণ্ডে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির আধিকারিকরা। শুধুমাত্র তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই দিল্লি থেকে জনা তিনেক ইডি অফিসার আসেন কলকাতায়। তাঁকে এদিন হাজিরা দেওয়ার জন্য কয়েকদিন আগেই ইডি তলবি নোটিস পাঠিয়েছিল।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee | নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেককে ফের তলব ইডির
তৃণমূল অবশ্য রুজিরাকে তলবের পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে বলে দাবি করে। শাসকদলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রায় মানুষের ভিড় দেখে বিজেপির মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ওরা ভয় পেয়েছে। তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে ইডিকে ব্যবহার করছে। দিনকয়েক আগেই নিয়োগ দুর্নীতির প্রশ্নে অভিষেককে প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। রাতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি সেদিন সাংবাদিকদের বলেন, সব বোগাস। যারা ডেকেছে, তাদের সময় নষ্ট। আমারও সময় নষ্ট। এই জিজ্ঞাসাবাদের নিট ফল শূন্য। গতবছরও অভিষেককে দিল্লিতে দুবার ডাকা হয়েছিল গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে। ডাক পড়েছিল তাঁর স্ত্রী রুজিরারও। কিন্তু দিল্লিতে তলবের বিরুদ্ধে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। শীর্ষ আদালত জানায়, এরপর দিল্লিতে নয়, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে কলকাতায়।