কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন করতে হবে। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যেতে পারে রাজ্য সরকার। তাই আগেভাগেই তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট করে রাখলেন কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (Abu Hasem Khan Choudhury) ওরফে ডালু। তাঁর আইনজীবী ঋজু ঘোষাল শুক্রবার বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি রাজ্য সরকার (State Government) বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal State Election Commission) কলকাতা হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে। তঁদের নোটিস (Notice) না দিয়ে একতরফা শুনানির মাধ্যমে রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন যাতে হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ পাওয়ার চেষ্টা করতে না পারে সেই উদ্দেশ্যেই এই ক্যাভিয়েট করা হয়েছে। ঋজু ঘোষাল আরও জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে যাতে এই মামলার শুনানির সময় আমাদের নোটিস পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, আবু হাসেম খান চৌধুরীর মামলাতেই মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট পঞ্চায়েত ভোটে স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত হয়নি বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টকে জানায়। কমিশন রায় সংশোধনের আবেদন জানানোর পরে প্রধান বিচারপতি টিএসশিবগননম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের সব এলাকাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা ওই রায়ের প্রিক্ষেত জানিয়েছেন, হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে কার্যকর করা হবে। অনেকে অবশ্য মনে করছেন সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: Talk on Facts | শপিংমলে জানালা এবং ঘড়ি থাকে না কেন জানেন?
বিরোধীরা আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে। বিরোধী সব দলই পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছিল অনেক আগে থেকে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের তিক্ত অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া শান্তিপূর্ণ ও অবাধ পঞ্চায়েত ভোট সম্ভব নয়। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম রাতে বলেন, আদালতের এই নির্দেশ রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের গালে বড় থাপ্পড়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, আদালত বিরোধীদের দাবিকে সংগত কারণে মান্যতা দিয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য আদালতের উপর আমাদের আস্থা ছিল। শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে, ঘুরবে, বেড়াবে, ঘুমাবে। আর সাধারণ মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবেন।