Thursday, June 12, 2025
HomeআজকেAajke | মুখ সামলে কমরেড সেলিম

Aajke | মুখ সামলে কমরেড সেলিম

Follow Us :

ছিল। এরকমটা আমরা আগেও দেখেছি বিজেপির ট্রোল বাহিনীর কমেন্টস-এ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। লেখাও যায় না, আলোচনা করাও যায় না এমন ভাষায় আক্রমণ করা হত বিরোধী নেতাদের, যারা বিরোধিতা করছেন তাঁদের। স্বরা ভাস্কর কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন, তাঁকে যে ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছিল তা তিনি বলে উঠতে পারছিলেন না। কখনও সখনও এ ধরনের দু’ চারটে ছিটকে আসা কথা আমরা দেখেছি অন্য দলের কিছু কর্মী সমর্থকদের কাছ থেকে। আমরা হাতে গোনা কিছু মানুষের কুৎসা রটনাও দেখেছি। আমরা এই বৃত্তের বাইরেই রাখতাম কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের। আচমকাই বিমান বসুর পাছা দেখাব বা অনিল বিশ্বাসের যমের অরুচি মার্কা কথা শুনেছি বটে কিন্তু ওগুলোও সেই অর্থে কথা বলতে বলতে একটা আর্ষ প্রয়োগ, একটা অন্যায় বাক্য ব্যবহারের মধ্যেই ছিল। আমরা তার পরেই ওই নেতাদের মুখ থেকেই ভুল স্বীকারও শুনেছি, এই ভাষা ব্যবহার যে ঠিক নয় তাও শুনেছি। আজ মহম্মদ সেলিম যা করলেন তা অন্যায় নয়, নোংরামি। তিনি যে ভাষায় লিখলেন তাতে প্রস্টিটিউটকে যৌনকর্মী শব্দ দিয়ে বদলে দিলেই নোংরামি ধুয়ে মুছে যাবে না। এ রাজ্যের অন্যতম দলের অন্যতম নেতার নামে এই কুৎসা করে কমরেড সেলিম নিজের বেহায়াপনার প্রমাণ রাখলেন আর সাফ বুঝিয়ে দিলেন এই মুহূর্তে তাঁর আদর্শের দেউলিয়াপনা। একটা ছিটেফোঁটা প্রমাণও তাঁর কাছে নেই, তিনি এই কথা বলে দিলেন কিসের ভিত্তিতে? তাহলে কি কমিউনিস্ট পার্টির দিশা ঠিক করে দিচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট? সেটাই আজকে আমাদের বিষয় আজকে, মুখ সামলে কমরেড সেলিম।

কেন বললেন কমরেড সেলিম এই কথা, যিনি নাকি কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য, যিনি নাকি বাংলার রাজ্য সম্পাদক? কেন? ফ্রাস্ট্রেটেড? হতাশ? হারতে হারতে হতাশ? ২০২১-এ জড়িয়ে ধরেছিলেন এক কাঠমোল্লা আব্বাসকে, কেন? চণ্ডীতলা জিততে হবে, এমএলএ হতেই হবে, দলের বহু মানুষের আপত্তির পরেও তড়িঘড়ি করে ওই কাঠমোল্লার সঙ্গে আঁতাঁত হয়েছিল, ফুরফুরা শরিফ ঘেঁষা চণ্ডীতলা থেকে জিতে অন্তত এমএলএ হওয়ার সাধ। হলটা কী? তিন নম্বরে ছিলেন, ১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তিন নম্বরে এবং রাজ্যে বিগ জিরো। তাই হতাশা? তাতে কী? কমিউনিস্ট পার্টি কবে আবার সংসদীয় আসনের ওপর নির্ভরশীল? মাঠে ময়দানে কমিউনিস্টরা লড়বে, এটাই তো স্বাভাবিক। লড়াই চলছে, নিত্যনতুন ইস্যু আসছে, পঞ্চায়েত ভোট এল, খানিক বেড়েছে বটে কিন্তু তা আবার সেই সংসদীয় মাপকাঠিতে বড্ড কম। তাই আবার হতাশা? শিক্ষক দুর্নীতি, অন্যান্য রকমারি দুর্নীতি নিয়ে ব্যতিব্যস্ত সরকার আর তৃণমূল দল, চেপে ধরুন তাঁদের, লড়াই হোক রাস্তায়, মানুষের আদালতে। তা না করে কোন নেতা কোন বিদেশে টাকা পাচার করে তাঁর ১৬ জন প্রস্টিটিউটের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন গোছের প্রচারে নামলেন কেন কমরেড সেলিম? প্রস্টিটিউট সম্পর্কে আপনার জ্ঞান বেশি থাকলেও হঠাৎ তা বিতরণ করতে নামলেন কেন? হতাশা? 

আরও পড়ুন: Aajke | প্রাইমারি স্কুলে ক’টা ভাষা পড়বে ছাত্ররা? 

বাংলায় যদি কং-তৃণমূল জোট হয় তাহলে জেতা তো দূরের কথা ভোট পার্সেন্টেজ আবার ৭-৮ শতাংশে ফিরে যাবে তাই? এই কুৎসা তো আপনি করলেন, কিন্তু এরপর উজ্জীবিত আপনার ক্যাডারেরা এই প্রচারকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে, তারপর হানাহানি মারপিট হবে, সেটা জানেন না কমরেড সেলিম? সেখানে দাঁড়াতেও পারবেন না সেটা জানেন না কমরেড সেলিম? উল্টো দিক থেকে পাল্টা কুৎসার বন্যা বয়ে আসবে সেটা জানেন না কমরেড সেলিম? কোন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সূচনায় হাত দিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক? কমিউনিস্ট পার্টির প্রচারের হাতিয়ার কুৎসা? এই ধরনের কুৎসা? বিজেপির ট্রোল বাহিনীর থেকে আপনার ফারাকটা কোথায় বুঝিয়ে দিন কমরেড মহম্মদ সেলিম। আপনি একজনকে নিয়ে যা বললেন, তার সপক্ষে একটা কথাও জনসভাতে বলার মতো প্রমাণ আপনার কাছে আছে? টাকা পাচার হয়েছে? হ্যাঁ, হতেই পারে, যে পরিমাণ টাকার দুর্নীতির কথা উঠছে তাতে টাকা পাচার হতেই পারে, বলুন না সে কথা কিন্তু তার মধ্যে বেশ্যা, বারবণিতা এনে কি আপনার মান বাড়ল না আপনার অভিযোগ বাড়তি গুরুত্ব পেল? আমরা আমাদের দর্শকদের কাছে জিজ্ঞেস করেছিলাম, মহম্মদ সেলিম বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চুরি করা টাকা বিদেশে ১৫ জন প্রস্টিটিউটের কাছে পাচার করেছেন। বিনা প্রমাণে এই ধরনের কথা বলা কতটা যুক্তিসঙ্গত? শুনুন মানুষজন কী বলেছেন।  

১৯৩৪ সালের মণি চট্টোপাধ্যায়, ৩৮-৩৯ সালে নৃপেন চক্রবর্তী, ৪৩-এ ভবানী সেন, ৪৭-এ রণেন সেন, ৫১-তে মুজফফর আহমেদ, ৫৩-৫৯-এ জ্যোতি বসু, ৬১-৮২তে প্রমোদ দাশগুপ্ত, ৮৫-৮৮তে সরোজ মুখোপাধ্যায়, ২০০২-২০০৫ এ অনিল বিশ্বাস, এঁরা ছিলেন বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির রাজ্য সম্পাদক। প্রথমে সিপিআই তারপরে সিপিআইএম-এর। আমাদের দুর্ভাগ্য একজন চরম অশিক্ষিত, বাচাল, দুর্বিনীত মানুষ আজ সেই আসনে। এটা তো দলের ব্যাপার, তাঁদের পাঁঠা তাঁরা আগে কাটবেন না পিছনে তা তো তাঁরাই ঠিক করবেন, কিন্তু এ ধরনের কথা বলার আগে মুখ সামলে কমরেড মহম্মদ সেলিম, কারণ আপনার কৃতকর্মের ফল ভুগতে হবে কিন্তু দলের সেই সব কর্মীদের যাঁরা দেশের দশের কাজ করবেন বলেই রাজনীতিতে নেমেছেন, এই বাজারে কমিউনিস্ট পার্টি করছেন। তাঁরা হতাশ নন, তাঁরা এমপি বা এমএলএ না হতে পারার জন্য হতাশায় আবোল তাবোল বকছেন না।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Ahmedabad | আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্র
00:00
Video thumbnail
Air India | Amit Shah | বিমান দুর্ঘটনা কাণ্ডে অমিত শাহ-কে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
00:00
Video thumbnail
Justice Suryakant | ভারতীয় বিচারব্যবস্থা গভীর বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছে, কেন? মন্তব্য বিচারপতির
00:00
Video thumbnail
Air India | আমেদাবাদের ভেঙে পড়া বিমানে কোন দেশের কত যাত্রী ছিলেন? দেখুন প্যাসেঞ্জার লিস্ট
00:00
Video thumbnail
Air India | Ahmedabad | কীভাবে হল বিমান দুর্ঘটনা? ব‍্যাখ‍্যা দিলেন ক‍্যাপ্টেন শুভগত জোয়ারদার
00:00
Video thumbnail
Air India | Ahmedabad | মৃ/ত্যুর আশঙ্কা ২৪২ যাত্রীর, দেখুন এই মুহূর্তের কী অবস্থা
00:00
Video thumbnail
Air India | Ahmedabad | কীভাবে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান? দেখুন সেই মুহূর্তের ছবি
00:00
Video thumbnail
Ahmedabad | Air India | লন্ডনগামী বিমানে কতজন যাত্রী ছিলেন? কী অবস্থা তাঁদের? দেখুন লেটেস্ট আপডেট
00:00
Video thumbnail
Air India | Gujrat | ভেঙে পড়া বিমানে ছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী! এই খবরে তীব্র চাঞ্চল্য
00:00
Video thumbnail
Justice Suryakant | ভারতীয় বিচারব্যবস্থা গভীর বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছে, কেন? মন্তব্য বিচারপতির
05:21