Tuesday, July 1, 2025
Homeকলকাতাঅবাধ্য ছেলেকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অধিকার বাবা মাকে দিল হাইকোর্ট

অবাধ্য ছেলেকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অধিকার বাবা মাকে দিল হাইকোর্ট

Follow Us :

কলকাতা: আধুনিক সমাজে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সাহারা হয়ে উঠছে কলকাতা হাইকোর্ট। সন্তানের অত্যাচারে জেরবার বৃদ্ধ বাবা-মা। জীবনের শেষ প্রান্তে শান্তি ফেরাতে বারবার দ্বারস্থ হচ্ছেন হাইকোর্টের। তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা।

আরও পড়ুন: অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ? বর্ষায় ঘুরে আসুন পুরুলিয়ায়

পুত্র ও পুত্রবধুর অত্যাচারে ঘরছাড়া হয়েছিলেন ৭০ বছরের বৃদ্ধ চন্দ্রেশ্বর সিং ও তাঁর স্ত্রী মীরা সিং। ছেলের অত্যাচারে পাটুলি থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। অভিযোগ জানানোর পরও কোনও কাজ না হওয়ায় তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। অবশেষে বিচারপতি রাজশেখর মন্থারের নির্দেশে নিজের ঘর ফিরে পেলেন বাবা-মা। আদালত জানিয়ে দিল বাবা মায়ের বাড়ি বাবা মাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। সেখানে স্থান নেই ছেলে আর ছেলের বউয়ের।

আরও পড়ুন: শুভেন্দুর কারণেই ভাঙছে বিজেপি, দাবি অনুব্রতর

আবেদনকারীর আইনজীবী অংশুমান চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানিয়েছেন, পাটুলি থানার অন্তর্গত বিপি টাউনশিপে বসবাস করতেন চন্দ্রেশ্বর সিং ও তাঁর স্ত্রী। ওই দম্পতির দুই পুত্র ও দুই কন্যা। বড় পুত্র আলাদা থাকেন। দুই কন্যার বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট পুত্র জিতেন্দ্র সিং তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে পাটুলির বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করতেন। অভিযোগ, ছোট ছেলে নিয়মিত বৃদ্ধ বাবার কাছ থেকে অর্থ দাবী করতে থাকেন।

আরও পড়ুন: উলটপুরাণ, বেশি করে গোরুর মাংস খাওয়ার পরামর্শ বিজেপি মন্ত্রীর

টাকা না দিলে তাঁরা বাবা-মায়ের উপর অত্যাচার চালাতেন। এমনকি তাঁরা বাবা-মায়ের গায়ে থুতু দিতেন বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত ছেলে ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর করে বাড়ি থেকে বার পর্যন্ত করে দেয়। তখন বাধ্য হয়ে ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি বৃদ্ধ বাবা-মা পাটুলি থানায় ছোট ছেলে জিতেন্দ্র সিং ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ফলে ওই বৃদ্ধ বাবা-মার আশ্রয় হয় বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে।

আরও পড়ুন: বাবুল ভালো ছেলে, সাংসদ পদ ছাড়লে অনেক কথা বলব: অনুব্রত

আদালত পাটুলি থানাকে নির্দেশ দেয় ওই বৃদ্ধ বাবা-মাকে অবিলম্বে তাঁদের বাড়িতে ঢুকিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি চার দিনের জন্য একজন পুলিশ কনস্টেবলকে নিযুক্ত রাখতে হবে যাতে তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারেন। সেইমতো পাটুলি থানার পুলিশ বৃদ্ধ দম্পতিকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে গেলেও বৃদ্ধ বাবা-মায়ের উপর অত্যাচার কমেনি ওই পুত্রের। আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে অভিযোগ জানান, পুলিশের উপস্থিতিতেই জিতেন্দ্র সিং তাঁর বাবা-মাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এরপর বিচারপতি রাজশেখর মন্থা জানান, বৃদ্ধ দম্পতিকে তাঁদের নিজেদের বাড়িতে বসবাস করার সুযোগ করে দিতে হবে পাটুলি থানাকে। ছোট পুত্র ও পুত্রবধু ওই বাড়িতে থাকলে তা সম্ভব নয়। তাই তাঁদের ওই বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের বিমানবন্দরে রকেট হামলা তালিবানদের

এই রায় দিয়ে আদালত জানিয়েছে, যে পিতা-মাতা তিল তিল করে নিজের জীবন দিয়ে তাঁর সন্তানদের বড় করে তোলেন। সেই পিতা-মাতাকেই শেষ বয়সে যখন সন্তানদের হাতে প্রহৃত হতে হয় তখন সমাজের আসল রূপ ফুটে ওঠে। আশা করব আদালতের এই রায়ের থেকে আধুনিক সন্তানরা শিক্ষা নেবেন। আর যেন কোনও বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে সন্তানের অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে না হয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Kasba Incident | কসবা কাণ্ডে হকি স্টিকের রহস্য কী? জানলে চমকে উঠবেন
00:00
Video thumbnail
Kasba Incident | মনোজিতের কীর্তি জানলে চমকে উঠবেন
00:00
Video thumbnail
Kasba Incident | বিগ ব্রেকিং, কসবা কাণ্ডে পুলিশের হাতে অভিযুক্তদের টাওয়ার লোকেশন
00:00
Video thumbnail
Iran-America | সিরিয়াকে সাহায্য আমেরিকার, কোন স্ট্র্যাটেজি নেবে ইরান?
00:00
Video thumbnail
Iran-Israel | ইজরায়েলকে বিশ্বাস করা যায় না, বি/স্ফো/রক ইরানের সেনাপ্রধান, পাল্টা কী করবেন খামেনি?
00:00
Video thumbnail
India-Pakistan | ভারত-পাক বন্দি বিনিময়ে বড় সিদ্ধান্ত, দেখুন এই ভিডিও
03:56
Video thumbnail
Uttar Pradesh | BJP | ডবল ইঞ্জিনের রাজ্যে, হাসপাতালে খু/ন নার্সিং ছাত্রী
06:34
Video thumbnail
Zohran Mamdani | ডেটিং অ্যাপ থেকে পরিচয়, তারপর পরিণয়, কে এই মামদানি স্ত্রী রামা?
02:00
Video thumbnail
India-America | ভারত মার্কিন বাণিজ্য নিয়ে বড় কথা শোনাল হোয়াইট হাউস
01:12
Video thumbnail
TMC | ভোটার তালিকায় সংশোধনী স্বচ্ছতা চাই, দাবি তুলল তৃণমূল, কী বলল শুনুন
01:23

Deprecated: Automatic conversion of false to array is deprecated in /var/www/ktv/wp-content/themes/techinfer-child/functions.php on line 39