কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর,ধৃতদের লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে । কিন্তু তাদের বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। এক এক সময় একেক রকম কথা বলছেন বলে দাবি পুলিশের। কে সঠিক কথা বলছেন? তা খুঁজে বার করতেই ধৃত ন’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় আরও কয়েক জন পড়ুয়া জড়িত থাকতে পারেন বলে মনে করছে পুলিশ। তাঁদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
এই ঘটনার সঙ্গে অনেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে থাকতে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। পুলিশের স্ক্যানারে উঠে এসে বেশ কয়েকজনের নাম। তালিকায় আছে কয়েকজন প্রাক্তনীও। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জেরা করে আরও কয়েকজন পড়ুয়া ও প্রাক্তনীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের অনুমান ঘটনার দিন রাতে হস্টেলে পুলিশকে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনাতেও জড়িত ওই সব পড়ুয়ারা। যদিও তদন্তের স্বার্থেই তাদের পরিচয় প্রকাশ করছে না পুলিশ। এই ঘটনায় গত প্রথম গ্রেফতার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং হস্টেলের আবাসিক সৌরভ চৌধুরীকে। এরপর দীপশেখর দত্ত এবং মনোতোষ ঘোষ গ্রেফতার হয়। তাঁদের জেরা করে বুধবার আরও ছ’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় এফআইআর দায়ের শুভেন্দুর
ইন্ট্রোর নামে ওই ছাত্রকে করা হেনস্তার ভিডিও করা হয়েছিল বলে মনে করছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে ছাত্রকে ভয় দেখাতে ওই ভিডিও করা হয়েছিল। ভিডিও উদ্ধারে ধৃতদের মোবাইল ফোনের ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়েছে। দু’টি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেল থেকে। ওই জোড়া ডায়েরিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হস্তাক্ষর বিশেষজ্ঞ দ্বারা সেই চিঠির লেখা ও সই পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ। এও জানা হিয়েছে ওই টিঠি লিখেছিল ধৃত পড়ুয়া দীপশেখর। জেরায় সে কথা নিজেই জানিয়েছে।
অন্যদিকে, মেন হস্টেলের সুপার দাবি করেছে, ইন্ট্রোর নামে সিনিয়ররা জুনিয়ারদের ব়্যাগিং করত। এমন কী নেশা এক চক্র চলত। এই সব কিছুই জানত কর্তৃপক্ষ। সব কিছু জেনেও কেন চুপ তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পড়ুয়া মৃত্যুর তদন্তে শুক্রবার পঞ্চম বৈঠকে বসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে সুপার-আবাসিকদের।