বসিরহাট: ভোট (7 Phase LokSabha Election) সপ্তমীতে রক্তাক্ত সন্দেশখালি। শনিবার শেষ দফার ভোটে প্রথম থেকেই নজর ছিল সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দিকে। সকালে ভোট শুরুর পর থেকেই রণক্ষের চেহারা নেয় সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ এলাকা। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনে শাসকদল।সন্দেশখালিতে তৃণমূল সমর্থকদের বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায় আটক করা হয়ে এক ব্যক্তিকে। তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে (Tmc Bjp Clash) ৫ বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের মুক্তির দাবিতে বয়ারমারির বাসন্তী সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধে শামিল হন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র (Rekha Patra)। পুলিশের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন রেখা। অভিযোগ, উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে। উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস, লাঠির্চাজ করে পুলিশ।
গ্রামবাসীদের দাবি, ওই ব্যক্তি নির্দোষ। প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিশ সেই বিক্ষোভ হঠাতে গেলে, ইটবৃষ্টি শুরু হয় এলাকায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বড় বড় পাথর। উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস, লাঠির্চাজ পুলিশের। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। গ্রামের মহিলারা ঝাঁটা হাতে রাস্তায় বসে পড়েন।
আরও পড়ুন: শেষ ভোটে ৯ কেন্দ্রেই হিংসা, বুথ দখল, ছাপ্পার ভূরি ভূরি অভিযোগ
অন্যদিকে সন্দেশখালি আগারহাটি এলাকায় বাসিন্দাদের ভোট দিতে বাধা দেয় তৃণমূল। সেই সময় পুলিশ এসে মহিলা ভোটারদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রাজবাড়ি এলাকায় এক মহিলার আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ ইট ছুঁড়েছে। যদিও পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মারামারির ঘটনায় গুরুতর আহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি নলিনী খাটুয়া-সহ দু’জন।
বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার টাকি এলাকার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডেও তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপির দুপক্ষের এক জন করে আহত হয়েছেন বলে খবর। তৃণমূলের অভিযোগ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের একটি ক্যাম্পে হঠাৎই বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা এসে ভাঙচুর চালান। বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পাশাপাশি বিজেপি সমর্থকরা ভোট দিতে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়েন। গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। সেই সময় এবিভিপির রাজ্য নেতা স্বপন ঘোষ হামলা ঠেকাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। আহত অবস্থায় ওই নেতাকে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য।
দেখুন ভিডিও