কলকাতা: মালদহে (Malda) তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার (Dulal Sarkar) ওরফে বাবলা সরকার খুনে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। শুক্রবার ওই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়। মোট গ্রেফতার হল সাত জন। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত বাইক ও আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃতরা বিহার ও ইংরেজবাজারের বাসিন্দা। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, তার মধ্যে দুজন বাবলা সরকারের অফিসে নিয়মিত আসত। খুনের মোটিফ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ। ওই ঘটনার পরই মালদহে যান ফিরহাদ।
বৃহস্পতিবার সকালে গুলি করে খুন করা হয় ৩০ বছরের কাউন্সিলর ও তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি বাবলা সরকারকে। সিনেমার কায়দায় দুষ্কৃতীরা তাড়া করে দোকানের ভিতর ঢুকে খুন করে। মাথায় ও শরীরে গুলি করে। সেই ঘটনায় নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহের পুলিশ সুপারের অপদার্থতায় ওই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছিলেন। পুলিশের গাফিলতি রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। দুলাল সরকারের নিরাপত্তাবাহিনী তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে ঊষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী দাবি করেছেন, খুনের জন্য ১০ লক্ষ টাকায় রফা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশ ! বাড়ানো হল গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তা
এদিন বাবলা সরকারের মৃতদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান তৃণমূলকর্মীরা। বৃহস্পতিবারই পুলিশ দুজনকে ধরেছিল। তারা সুপারি কিলার। ঝাড়খণ্ডে পালানোর চেষ্টা করেছিল দুজন। পরে যে পাঁচজনকে ধরা হয় তারা এদের সঙ্গে জড়িত। বাগবাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার হয় নম্বর প্লেটহীন বাইক। গতকাল ধরা পড়া সামি আখতার বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা। টিঙ্কু ঘোষ ইংরেজবাজারের বাসিন্দা।
দেখুন অন্য খবর: